× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খুলনায় আমন ধানের ৬টি নতুন জাত উদ্ভাবন

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
২০ জুলাই ২০২১, মঙ্গলবার

নতুন ৬টি আমন ধানের জাত উদ্ভাবনে সফল হয়েছেন কৃষক আরুনী সরকার। লোকজের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের ধারাবাহিকতায় খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার গঙ্গারামপুর গ্রামের এ কৃষক দেশীয় প্রজাতির ১০টি জাতকে মাদার ও ১০টি জাতকে ফাদার করে ইমাসকুলেশন ও পলিনেশনের মাধ্যমে ব্রিডিং করে ধানের নতুন ৬টি জাত উদ্ভাবনে সফল হন। প্রস্তাবিত ধানগুলোর নাম- আলো ধান, লোকজ ধান, আরুনী ধান, গঙ্গা ধান, মৈত্রী ধান, লক্ষীভোগ ধান।
২০১০ সালে ব্রিডিং প্রশিক্ষণ নিয়ে ইমাসকুলেশন ও পলিনেশনের মাধ্যমে ব্রিডিং করে নতুন জাত উদ্ভাবনে সফল কার্যক্রম ২০২০ সালের আমন মৌসুমে শেষ হয়। উদ্ভাবিত এই নতুন জাতগুলোর মধ্যে বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, মাদার ফাদার থেকে ফলন বেশি, গাঁথুনি ঘন, শীষ লম্বা, দুর্যোগ সহিষ্ণু ও মাদার ফাদার থেকে জীবনকাল কম। নতুন এই ৬টি জাত এলাকা উপযোগী ও ইতিবাচক হওয়ায় ইতিমধ্যে এলাকার কৃষকরা এই সকল ব্রিডিং ধানের বীজ সংগ্রহ করছেন।
নতুন জাতের উদ্ভাবক কৃষক আরুনী সরকার জানান, আমি ২০১০ সালে পিরোজপুরের বুলিশাখালী গ্রামে ৬ দিনের একটা ট্রেনিং নেই। সেখানে ফিলিপাইনের বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রফেসর ট্রেনিংয়ে আমাদের ধানের কাটিং, পরাগায়ণ, জাত নির্বাচন করতে শেখান। তারপর থেকে আমি দেশীয় ৩৬ রকমের জাত থেকে ২০টি জাত নির্বাচন করি এবং নতুন জাত উদ্ভাবনের কাজ শুরু করি।
এ বছর আমি ১০ কাঠা জমিতে ১১ মণ ধান পেয়েছি, সেখান থেকে সংগঠনে এবং গ্রামের কৃষকদের বীজ দিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, ‘নতুন জাতের ধান গায়ে মোটা, লম্বা ও শক্ত এজন্য পোকা কম, বাঁচেও বেশি। নতুন জাতের ধানের চাল খেতেও সুস্বাদু। গত বছর ধানের ফলন ভালো দেখে সবাইকে আমি বীজ দেই কি না দেই এই সংশয়ে কোদলাহর বিল থেকে কে বা কারা আমার ৩শ’ আটি ধান চুরিও করেছে।’
কৃষক দেব জ্যোতি মহালদার বলেন, আরুনী ধান ৪ বছর ধরে চাষ করছি। প্রথম দুই বছর ফলন খারাপ হয়েছিল। তবে শেষ দুই বছর ফলন বেশ ভালো। অন্য ধান বিঘা প্রতি ১২-১৫ মণ পেতাম, এই ধান পাই ২০ মণ।
লোকজ এর সভাপতি গৌরাঙ্গ নন্দী বলেন, এখন আমাদের কাজ হবে এই ধানের চাষ আরো বৃদ্ধি করা। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সয়েল ক্যারেক্টার প্রায় একই রকম, সুতরাং এই অঞ্চলে নতুন জাতের ধানের ফলন ভালো হবে। আশা করছি এই নতুন জাতের ধান বিকশিত হবে, প্রতিষ্ঠা পাবে সারা দেশে।


 
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর