মহামারি করোনার মধ্যেও কোরবানির হাটের শেষ মুহূর্তে রংপুরে গরু-ছাগলের হাটে উপচে পড়া ভিড়। মানছে না কেউ স্বাস্থ্যবিধি। কেনা-বেচার ঘোরে সবাই মত্ত। দামও প্রচুর। গতকাল রংপুর নগরীর লালবাগহাট, বুড়িরহাট, হাজীরহাটসহ প্রায় ২৫টি হাটে হাজার হাজার গরু-ছাগল উঠলেও দাম ছিল নাগালের বাইরে। বিভিন্ন বাহারি নামের গরু প্রকার ভেদে ৩ লাখ থেকে শুরু করে ৫০-৫৫ হাজার টাকায় ও ছাগল ৬০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকায় কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে কেউ জিতেছে, কেউ ঠকেছে। করোনার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের অবস্থা খারাপ থাকলেও কোরবানি দেয়ার জন্য আগ্রহের কমতি ছিল না এ অঞ্চলের মানুষের।
এদিকে কোরবানিকে ঘিরে কসাইদেরও মূল্য ছিল নাগালের বাইরে। তারা গরু-ছাগলের মূল্যের শতকরা ১৫ থেকে ২০ ভাগ পর্যন্ত পারিশ্রমিক দাবি করেছেন। এদিকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিয়েছে রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তিনি জানান, পবিত্র ঈদুল আজহার সময় কোরবানি যে বর্জ্য হবে, সেই বর্জ্যটা আমরা সঠিক সময়, সঠিক জায়গায় ডাম্পিং করতে চাই। এজন্য নগরবাসীকে ডাস্টবিনে বর্জ্য ফেলার অনুরোধ রাখছি। নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে কোরবানির পশু জবাই করার জন্য ১১৭টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। পশু জবাইয়ের স্থান পরিষ্কার রাখতে সাড়ে ৪০০ পরিচ্ছন্নতাকর্মী ৩টি জোনে বিভক্ত হয়ে ৩৩টি ওয়ার্ডে দ্রুত বর্জ্য অপসারণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কাজ করবে।