× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে দৌলতপুরের পশুর হাট

বাংলারজমিন

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
২০ জুলাই ২০২১, মঙ্গলবার

করোনা আর লকডাউনের কারণে হাটে পশু বিক্রি বন্ধ ছিল। তবে লকডাউন শিথিল হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটে পশু বিক্রি শুরু হয়েছে। তাই ঈদকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পশুর হাটগুলো। প্রতিটি হাটে এখন ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় রয়েছে। তবে হাটগুলোতে রয়েছে করোনা স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত।
সীমান্তবর্তী উপজেলা কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের কোরবানির পশুর খ্যাতি রয়েছে সবসময়ই। তাই দেশের নানা প্রান্ত থেকে পশু ক্রেতারা কোরবানির পশু ক্রয় করতে ছুটে আসে দৌলতপুরের বিভিন্ন পশুর হাটে। তবে এবার পশুর বাজার চড়া বলে ক্রেতাদের অভিমত।
তারপরও পছন্দের কোরবানির পশুটি ক্রয় করতে ব্যস্ততার শেষ নেই ক্রেতাদের।
আব্দুল হাকিম নামে একজন ব্যাপারী বিভিন্ন হাটে পশু ক্রয় করে ঢাকা ও চট্টগ্রামে সরবরাহ করে থাকেন। তিনি জানান, এ বছর করোনা আর লকডাউনে পশু বিক্রি বন্ধ ছিল। শেষ মুহূর্তে লকডাউন শিথিল হওয়ায় তড়িঘড়ি করে পশু কিনে তা ঢাকা ও চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। গতকালও পশু কিনেছি। তবে মাত্র কয়েকদিনের পশুর হাট হওয়ায় দামটা বেশি পড়ছে। তারপরও পশু ক্রয় বিক্রয়ে লাভ হচ্ছে বলে তিনি জানান।
মো. সাহেব আলী নামে একজন ক্ষুদ্র খামারি প্রায় দুই বছর ধরে ৪টি গরু লালন-পালন করেছেন। ইচ্ছা কোরবানির ঈদের সময় ভালো দামে বিক্রয় করার। তাই সে আল্লারদর্গা পশুর হাটে গরুগুলো তুলেছেন। শেষ মুহূর্তে ভালো দামে বিক্রি করতে পেরে খুশি হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এমন অসংখ্য ক্ষুদ্র খামারি রয়েছে যারা ঈদকে সামনে রেখে লালন-পালন করা গরু বিক্রি করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। কেউ বছর ধরে পরম মমতায় পালন করেছে ছাগল। হাটে বিক্রি করতে এসে শেষবারের মতো একটু আদর দিয়ে বিদায় দিয়েছে তাদের সন্তানতুল্য পশুটিকে। এমন দৃশ্যও চোখে পড়েছে।
আবার বছর ধরে গরু লালন-পালন করতে খরচ বেশি হওয়ায় ন্যায্য দাম হাকলে ক্রেতাদের কাছে তা বেশি বলে বিক্রেতাদের দাবি। তবে পশু পছন্দ হলে দর কষাকষিতে ক্রেতা বিক্রেতাদেরও সন্তুষ্টি মিলতে দেখা গেছে।
কোরবানির পশুর জন্য প্রসিদ্ধ দৌলতপুরের খামারিরা হাটে পশু বিক্রির পাশাপাশি অনলাইনে পশু বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল মালেক।
পশু কোরবানি ঈদের অংশ। তাই সামর্থ্যবান ব্যক্তিরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন হাটে ঘুরে ঘুরে পছন্দের কোরবানির পশুটি ক্রয় করে বাড়ি ফিরছেন ঈদের বাড়তি আনন্দ নিয়ে। তবে এসব পশু ক্রয় বিক্রয়ে সরকারি নির্দেশনা মানা বা করোনা স্বাস্থ্যবিধি মানা ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার কোনো বালাই ছিল না দৌলতপুরের আল্লারদর্গা ও মথুরাপুর হাটসহ বিভিন্ন হাটে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর