নদী ভাঙন আর বন্যার থাবায় জর্জরিত চিলমারী। বানভাসিদের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র তৈরি করলেও তদারকির অভাবে চারপাশ ধসে হুমকির মুখে চিলমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ভবন। জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারী নদী ভাঙন আর বন্যায় প্রতি বছর ক্ষতির মধ্যে পড়ে। হাজার হাজার মানুষ নদী ভাঙনের শিকার হয়ে আজ পথে নেমেছে। শুধু তাই নয় বন্যায় প্রতি বছর কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ ব্যাপক ক্ষতির মধ্যে পড়ে। এরই পেক্ষিতে উপজেলা থানাহাট ইউনিয়নের কোটি টাকা ব্যয়ে চিলমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র তৈরি করে সরকার। বন্যায় সময় প্রায় শতাধিক মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় নেয় ওই আশ্রয় কেন্দ্রে। কিন্তু সেই আশ্রয় কেন্দ্রের চারদিকে দেখা দিয়েছে ধস, ভেঙে যাচ্ছে চারপাশ এমনকি ভবনের সামনের মাঠটিও ধসে যেতে শুরু করেছে।
চলমান মৌসুমে বন্যা হলে শ’ শ’ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে কোথায় আশ্রয় নিবেন সেই ভাবনায় হতাশ এলাকাবাসী।
কথা হলে এলাকার আবুল মিয়া, সিদ্দিক, রহিমাসহ অনেকে জানান- নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে তৈরি করা হয় বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ফলে প্রতিবারের ন্যায় গতবারও আশ্রয় নেয়া মানুষজন বেশ সমস্যায় পড়েছিল। বিভিন্ন সমস্যার সঙ্গে এবারে সমস্যা আরও বেড়েছে। চারপাশ ধসে গেছে, মাঠে বড় বড় গর্ত। বন্যা হলে কীভাবে আশ্রয় নিবেন মানুষ। তারা বন্যার আগে মেরামতসহ সমস্যা সমাধানের দাবি জানান। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মোহাম্মদ কোহিনুর রহমান বলেন, প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে এবং একটি সংস্থার সঙ্গে কথাও হয়েছে। সরজমিন ঘুরে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান।