× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

যেভাবে উদ্ধার পরিকল্পনামন্ত্রীর ফোন

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২০ জুলাই ২০২১, মঙ্গলবার

রাজধানীর ধানমণ্ডিতে একটি আইফোন ছিনতাই মামলার তদন্তের সূত্র ধরে দেড় মাস আগে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের ছিনতাই হওয়া ফোনটির সন্ধান পায় পুলিশ। রোববার রাতে মন্ত্রীর ফোন উদ্ধার ও পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের পর সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এসে পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মো. সাজ্জাদুর রহমান এই তথ্য জানিয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মো. সগির, সুমন মিয়া, জাকির, হামিদ আহম্মেদ সোহাগ ওরফে আরিফ এবং জীবন।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ১২ই জুলাই এক নারীর ভ্যানিটি ব্যাগ টান দিয়ে ছিনিয়ে নেয় মোটরসাইকেল আরোহী দুই ছিনতাইকারী। ওই ব্যাগে একটি আইফোন ছিল। এই ঘটনায় মামলা হওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করে।
ধানমণ্ডি থানার ওসি একরাম আলী মিয়া বলেন, ওই মামলার তদন্তের ধারাবাহিকতায় ধানমণ্ডি ২৭ নম্বর এলাকা  থেকে রোববার সন্ধ্যায় একটি মোটরসাইকেলসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মুখ দেখা না গেলেও ফুটেজে দেখা যাওয়া হেলমেটের সঙ্গে গ্রেপ্তার দুইজনের হেলমেট মিলে যাওয়ায় তাদের আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সগির এবং সুমন মিয়া নামের এই দুইজন মোবাইল ছিনতাই চক্রের সদস্য নিশ্চিত হওয়া যায় জানিয়ে ওসি বলেন, পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জাকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তারা সবাই মোবাইল ‘টানা পার্টির সদস্য’ বলে জানান ওসি একরাম।
গ্রেপ্তারকৃতদের নিয়ে পরে মধ্যরাতে মোহাম্মদপুরের কাদেরাবাদ হাউজিং এলাকার এক বাসায় অভিযান চালিয়ে হামিদ আহম্মেদ সোহাগ ওরফে আরিফকে ল্যাপটপ এবং কয়েকটি মোবাইল ফোনসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা একরাম আলী মিয়া বলেন, আরিফের ল্যাপটপে অসংখ্য মোবাইল আনলক করার প্রমাণ পাওয়া যায় এবং সেখানে খুঁজতে গিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী মহোদয়ের মোবাইলও আনলক করার তথ্য  মেলে। এরপরেই তার কাছে জানতে চাওয়া হয় মন্ত্রী মহোদয়ের মোবাইলটি কোথায়? তার  দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আদাবরের একটি বাসা থেকে জীবনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বাসায় তল্লাশি চালিয়ে মন্ত্রীর ফোনসহ কয়েকটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়।
আরিফ তার কাছে মোবাইলটি বিক্রি করেছে বলে জানালেও কতো টাকায় কিনেছে সে ব্যাপারে  কোনো তথ্য জীবন দেয়নি বলে জানান ওসি। মন্ত্রীর ফোন ছিনতাই হয়েছে- এমন খবর প্রচার হওয়ার পর তারা সেটি আনলক করেও কোনো সিম ব্যবহার করেনি।
এটি একটি বড় চক্র এবং তাদের কাছে চোরাই মোবাইল ফোনের অসংখ্য তথ্য আছে জানিয়ে ওসি একরাম বলেন, তাদের রিমান্ডে এনে আরও তথ্য নেয়ার চেষ্টা করা হবে। পরিকল্পনামন্ত্রীর  মোবাইল ফোন ছিনতাইর ঘটনায় কাফরুল থানায় একটি মামলা হয়েছে।
পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন বলেন, তদন্তে নেমে আমরা এ পর্যন্ত তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করি। প্রায় অর্ধশত মোবাইল তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হলেও মন্ত্রী মহোদয়ের মোবাইলটি তখনও পাওয়া যায়নি। ধানমণ্ডি থানায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে আনা হবে বলে জানান তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর