× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিয়ানীবাজারে হোম আইসোলেশনে উদাসীন স্বাস্থ্য প্রশাসন

বাংলারজমিন

বিয়ানীবাজার (সিলেট) প্রতিনিধি
২০ জুলাই ২০২১, মঙ্গলবার

সারা দেশের ন্যায় বিয়ানীবাজারে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সচেতনমহল বলছেন, উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা নিয়ন্ত্রণে কাগজে-কলমে নানা পদক্ষেপের কথা বললেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি তারা দেখাতে পারছে না। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণহীন হওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে তারা বলছেন, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের ঠিকমতো আইসোলেশন (করোনা আক্রান্ত হলে সুস্থ মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা) করা হচ্ছে না। বিশেষত হোম আইসোলেশনে যারা থাকছেন, তারাও নিজেদের ইচ্ছেমতো চলাফেরা করছেন। এতে তাদের সংস্পর্শে এসে অন্যরাও নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে। আইসোলেশনে স্বাস্থ্য বিভাগের নজরদারি না থাকায় সংক্রমণ পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণে আসছে না। তাছাড়া প্রথম দিকে কারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের নাম-ঠিকানাসহ জানিয়ে দিতো স্বাস্থ্য প্রশাসন।
কিন্তু গত কয়েক মাসে পূর্বে একটি হঠকারী সিদ্ধান্তের কারণে নাম-ঠিকানা প্রকাশের রীতি থেকে সরে আসে প্রশাসন। বর্তমানে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা আক্রান্ত কোনো রোগী নেই। সাধারণত করোনায় আক্রান্ত হলে ওই রোগীকে নিজ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেন সংশ্লিষ্টরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৩/৪ দিনে বিয়ানীবাজার উপজেলায় অন্তত ৬ জন ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেন। তাদের প্রত্যেকের করোনা উপসর্গ রয়েছে। গত সপ্তাহে করোনাক্রান্ত এক রোগী প্রকাশ্যে ভিড় ঠেলে স্থানীয় এক চিকিৎসকের চেম্বারে প্রবেশ করেন। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ ছাড়াও বিয়ানীবাজার উপজেলার ঘরে-ঘরে জ্বর, সর্দি ও কাশি নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন অসংখ্য রোগী। যারা নমুনা দিতে আগ্রহী নয়। জ্বর, গলা ব্যথার ওষুধ খাওয়াসহ নাকের ঘ্রাণ ফেরাতে ঘরোয়া চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বিয়ানীবাজার পিএইচজি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আলী আহমদ বলেন, আইলোশেন হলো যার রোগ দেখা দিয়েছে বা পরীক্ষা করে করোনা ধরা পড়েছে তাকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা। এক্ষেত্রে পিরিয়ড অব কমিউনিকেবিলিটি বা যতদিন পর্যন্ত সে রোগ না ছাড়ায় ততদিন। এজন্য প্রত্যেক রোগীকেই আইসোলেশন করা দরকার। না করলেও ওই রোগী আরও কয়েকজনের মধ্যে ছড়াবে। মেডিকেল শিক্ষার্থী আরফা ইসলাম নিশি বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিনের মতো মৌলিক জায়গায় গুরুত্ব না দেয়ায় লকডাউন বা কঠোর বিধিনিষেধ কোনোটাতেই পরিপূর্ণ ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না। চলতি মাসের প্রথম দিকেও দৈনিক শনাক্তের হার ২৬ শতাংশে ছিল। অথচ টানা দুই সপ্তাহ কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েও শনাক্ত প্রায় ৩২ শতাংশে উঠেছে। এর কারণ লকডাউনের সঙ্গে রোগী শনাক্ত, সংক্রমণের উৎস শনাক্ত, আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিন সেভাবে হচ্ছে না। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোয়াজ্জেম আলী খান বলেন, আমরা নিয়মিত করোনা রোগীদের খবর নিচ্ছি। নানা কারণে হয়তো সবসময় সেটি হয়ে ওঠে না। তবে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের এ বিষয়ে আরও সতর্ক হতে বলে দেয়া হবে।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর