× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভারতে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর কথা স্বীকার আইএসএর জম্মু-কাশ্মীর প্রধানের

দেশ বিদেশ

অনলাইন ডেস্ক
২০ জুলাই ২০২১, মঙ্গলবার

জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) প্রধান উমর নিসার ভাট আকা কাসিম খোরসানি সম্প্রতি গ্রেপ্তার হয়েছেন। গ্রেপ্তারের পর স্বীকার করেছেন সদস্য নিয়োগ ও উগ্রপন্থা এবং তার মিডিয়া আউটলেট সোয়াত আল-হিন্দের মাধ্যমে ভারতে আইএসআইএস প্রপাগান্ডা ছড়িয়েছেন তিনি। সিএনএন-নিউজ১৮ এর হাতে আসা এক জিজ্ঞাসাবাদমূলক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা নিশ্চিত করেছে খোরসানি জম্মু ও কাশ্মীরে অনন্তনাগের আচাবলে থাকতেন। তাকে সোমবার তানভির আহমেদ ভট ও রামেজ লোন নামের দুজন সহযোগিসহ গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৬ সাল থেকেই খোরসানি এ অঞ্চলে সক্রিয় ছিলেন। এখান থেকে ভারত বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জম্মু ও কাশ্মীরে তিনি বিভিন্ন ধরনের মালামাল, অস্ত্র ও বিস্ফোরক জোগান এবং আইএসএস ক্যাডারদের নিয়োগ দিতেন।

ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কাছে তিনি স্বীকার করেন পাকিস্তানে নিয়মিত সোয়াত আল-হিন্দ ম্যাগাজিন প্রকাশ হতো এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবাদে তিনি পাকিস্তানভিত্তিক দলগুলোর সঙ্গে থাকতেন।
ইসলামিক স্টেট খোরসানান প্রোভিয়েন্সের (আইএসকেপি) প্রশিক্ষকদের নির্দেশনার আওতায় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে সর্বপ্রথম এই ম্যাগাজিনটি প্রকাশিত হয়। এখন পর্যন্ত ম্যাগাজিনটিতে ১৭টি ইস্যু প্রকাশিত হয়েছে।
টেলিগ্রামের সঙ্গে এক কথোপকথনে খোরসানি বলেন, ‘আমরা আইএসএস যোদ্ধাদের দুইভাবে বিভক্ত করেছি। একটি হচ্ছে স্থল সদস্য, অন্যটি গণমাধ্যম। যখন শত্রুরা আমাদের যোদ্ধাদের হত্যা করেছে তখন আমাদের গণমাধ্যমের যোদ্ধারা অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছে।’

গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী, তিনি আইএসআইএস সমর্থকদের ভারত ও বিদেশ থেকেও অর্থায়ন করেছেন।

টেলিগ্রামের সঙ্গে আরেকটি কথোপকথনে আরো বলেছেন, ভারতীয় কর্তৃপক্ষের হাতে ধরা না পড়ার জন্য তিনি নিয়োগকারীদের ‘এসওপিএস’ (স্ট্যানডার্ড অপারেটিং প্রোসিডিওরস) অনুসরণ না করার বিষয়ে সতর্ক করেছেন।’ তিনি আরো বলেছেন, ‘সিমসহ ফোন ব্যবহার না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সর্বোচ্চমানের ভিপিএন এবং ওয়াইফাই ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে এবং উগ্রবাদ সংশ্লিষ্ট কোন কিছু না রাখতে বলা হয়েছে। যদি গ্রেপ্তার হয়েই যায় তাহলে শত্রুরা যেন কোনভাবেই মোবাইলের নাগাল না পায় সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে।’

বাংলাদেশ এবং মালদ্বীপভিত্তিক ইসলামিক আমিরের সঙ্গে যোগসূত্র থাকার কথাও স্বীকার করেছেন খোরসানি। সন্ত্রাসবাদীদের প্রপাগান্ডা নেটওয়ার্ক বিস্তারের জন্য এই সম্পর্ক ব্যবহার করতেন তিনি। খোরসানি বলেন, ‘আমি একটি বিষয় খুব পরিস্কারভাবে বোঝাতে চাই যে এই গ্রুপটিকে আমরা আইএসএইচপি, আইএসজেকে অথবা কাশ্মীর শব্দে ডাকতে চাই না। আমরা একে উলাইয়াত আল হিন্দ (ভারতে ইসলামিক স্টেটের প্রদেশ) হিসেবে অভিহিত করবো।’

পাকিস্তানের নাগরিক হোজাইফ আল বাকিস্তানির সঙ্গেও তার যোগাযোগ ছিলো বলে স্বীকার করেছেন। ভারতের তরুনদের উগ্রপন্থায় উদ্বুদ্ধ করার অভিযোগে অভিযুক্ত হোজাইফ আফগানিস্তানে  মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন।

সূত্র:এএনআই
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর