যশোর শহরের শংকরপুর ছোটনের মোড়ে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে শাওন শেখ নামে এক গ্যারেজ মিস্ত্রি খুন হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার সময় ছোটনের মোড়ে ওয়ার্ড ভিত্তিক শান্তি শৃংখলা কমিটির কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা শাওনকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাত সাড়ে ১০টার সময় মৃত ঘোষণা করেন। শাওন শংকরপুর জমাদ্দার পাড়ার আব্দুল হালিম ওরেফে টিলে মুন্সির ছেলে। তার বিরুদ্ধে এলাকায় চাঁদাবাজি মারামারিসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে যশোর কোতোয়ালি থানা সূত্রে জানা যায়। তবে এলাকার কেউ কেউ বলছেন, বিগত ওয়ার্ড কমিশনার মোস্তফার রোষানলে পড়ে বিভিন্ন মামলার আসামি হতে হয়েছে নিহত শাওনসহ অনেককে। কারণ শাওনসহ এলাকার অনেক যুবক স্থানীয় সাবেক ওয়ার্ড কমিশনারের দলে কাজ না করলে তাদের বোমা হামলা চাঁদাবাজি ছিনতাইসহ সব মামলার পলাতক আসামি হতে হয়েছে এলাকার নিরীহ যুবকদের।
হাসপাতালে নিহতের বোন নিলা আহজারি করেন আর বলেন, আমার ভাই শংকরপুর টার্মিনাল এলাকায় গাড়ি সার্ভিসিং এর কাজ করে।
সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে বের হয়েছে। রাত ১০দিকে শুনি তাকে দুর্বৃত্তরা পাশের গলি থেকে ধাওয়া করে ছোটনের মোড়ে এলাকার শান্তি শৃংখলা কার্যালয়ে ফেলে ছুরি মেরেছে। আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এঘটনার সাথে যারা জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান নিহতের বোন নিলা।
যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডিউটি ডাক্তার সালাউদ্দিন স্বপন বলেন, রাত ১০টা ৩০ মিনিটে ছুরিকাঘাতে শাওন নামে একজন মৃত্যু অবস্থায় আসে। আমরা ধারণা করছি অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, তার শরীরের বুকে পিটে ১২টি স্থানে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করেছি।
যশোর' 'সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার "ক" সার্কেলের বেলাল হুসাইন বলেন, আমরা ঘটনা শোনার পর ঘটনাস্থলে গিয়েছি, বিভিন্ন তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা করছি। কিছু তথ্য আসামি শনাক্ত ও আটকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সেগুলো আপাতত গোপন রেখে পুলিশ কাজ করছে। তিনি আশা করেন খুব তাড়াতাড়ি অপরাধীরা ধরা পড়বে। তিনি আরো বলেন, যশোর কোতোয়ালি পুলিশের পাশাপাশি, ডিবি, চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টররা আসামি আটকের ব্যাপারে অভিযানে কাজ করছে। তার আগে নিহতদের পক্ষ থেকে মামলা এজাহার দিতে হবে। তিনি আশাবাদী অচিরেই আসামি শনাক্ত হবে। কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে বলে জানান।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ঘটনা শুনেই আমাদের কয়েকটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। কারা, কী কারণে তাকে হত্যা করেছে পুলিশ তা উদ্ঘাটনের চেষ্টা করছে।