× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

হাকালুকি হাওরে পর্যটকের ভিড়

বাংলারজমিন

এ.জে লাভলু, বড়লেখা (মৌলভীবাজার) থেকে
২৪ জুলাই ২০২১, শনিবার

পশ্চিম দিগন্তে লাল আভা ছড়িয়ে হেলে পড়েছে সূর্য। এই আনন্দে যেন আকাশে খেলা করছে মেঘদল। সেই আনন্দে তাল মিলিয়ে বাতাসও বইছে বেশ জোরেশোরে। হাওরের অথৈ জলে ভেসে চলেছে ছোট-বড় নৌকা। গত বৃহস্পতিবার বিকালে হাওরের বুকে দাঁড়িয়ে থাকা ওয়াচ টাওয়ার থেকে সেই দৃশ্য মুগ্ধ হয়ে দেখছেন পর্যটকরা।
তাইতো করোনাকালে দীর্ঘদিন ধরে ঘরবন্দি থাকা মানুষ একটু প্রশান্তির পরশ পেতে এবারের ঈদুল আজহার ছুটিতে হাকালুকি হাওরে ছুটে এসেছিলেন। তবে বেশির ভাগ পর্যটকই স্বাস্থ্যবিধি মানেননি। এদিকে হাওরে পর্র্যটকের ভিড় হওয়ায় স্থানীয় নৌকাচালকদের আয়-রোজগার বেড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও বন বিভাগের হাকালুকি বিট অফিস সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বন্ধ রয়েছে দেশের সব পর্যটনকেন্দ্রগুলো। দীর্ঘদিন ধরে ঘরবন্দি মানুষ হাঁপিয়ে উঠেছেন। তারা একটু প্রকৃতির পরশ পেতে চাইছেন। এ কারেণে ঈদের ছুটিতে মানুষ বেড়াতে আসছেন হাকালুকি হাওরে। ঈদের দিন ও  পরদিন বৃহস্পতিবার সেখানে প্রায় ৮ হাজার পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। তবে গতকাল থেকে লকডাউন শুরু হওয়ায় সেখানে পর্যটকের তেমন সমাগম হয়নি।
বৃহস্পতিবার বিকালে সরজমিন দেখা গেছে, হাওরপাড়ের হাল্লা গ্রামে সড়কের উপর সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে অনেকগুলো গাড়ি। আশপাশের উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে হাওরে ছুটে এসেছেন নানা বয়সী মানুষ। সড়কের পাশ ঘেঁষে যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করছে ছোট-বড় নৌকা। মানুষজন দর কষাকষি করে সেসব নৌকায় উঠে হাওরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ওয়াচ টাওয়ার থেকে কেউ কেউ পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। সাঁতার কাটছেন। তবে তাদের বেশিরভাগ পর্যটকই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। বন বিভাগের হাকালুকি বিটের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মানাতে হিমিশিম খাচ্ছেন।
হাওরে ঘুরতে আসা পর্যটক ফাহিম আহমদ বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন ঘরে থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে উঠেছি। দীর্ঘদিন ধরে সব পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ। কোথাও যাওয়া হয়নি। ঈদের কারণে  সেই  সুযোগটা হয়েছে। তাই হাওরে আমরা বন্ধুরা মিলে ঘুরতে এসেছি। হাওরের পানিতে নেমে গোসল করেছি। এখানকার পরিবেশ মনোমুগ্ধকর।  
তাওহিদ সারোয়ার মান্না ও সুলতান আহমদ বলেন, ঘরে থাকতে অস্বস্তি লাগছে। প্রাণভরে একটু শ্বাস নিতে পারছি না। তাই এখানে এসেছি। একটু প্রশান্তি পেতে। ভালো সময় কেটেছে। শেষ বিকালে সূর্য ডোবার দৃশ্য। আকাশে মেঘের খেলা। হাওরের জলে নৌকার বয়ে চলা দৃশ্য দেখে মন জুড়িয়ে গেছে।
বন বিভাগের হাকালুকি বিটের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা (জুনিয়র ওয়াইল্ড লাইফ স্কাউট) তপন চন্দ্র দেবনাথ গতকাল বিকালে বলেন, ঈদের দিন বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুদিনে প্রায় ৮ হাজার পর্যটক হাওরে ঘুরতে এসেছেন। লকডাউন শুরু হওয়ায় গতকাল পর্র্যটক খুব কম ছিল। যারা আসছেন, তারা আশপাশের এলাকার। তাদের ফিরিয়ে দেয়া  হচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা ঘটেনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর