× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শ্রীমঙ্গলের আশ্রয়ণ প্রকল্প / পর্যটক আকর্ষণে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার

বাংলারজমিন

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
২৪ জুলাই ২০২১, শনিবার

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি শ্রীমঙ্গলে নির্মিত প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্প পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। দিগন্তজুড়ে সবুজ উঁচু-নিচু টিলা, পাহাড়ের নান্দনিকতা বনাঞ্চল পরিবেষ্টিত বিস্তৃীর্ণ চা বাগান। সবুজের প্রাচুর্যের গালিচার ভাঁজে ভাঁজে গড়ে উঠেছে নিরাশ্রয় দরিদ্রের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের আশ্রয়ণ প্রকল্প। শ্রীমঙ্গলের আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলোর রূপ-সৌন্দর্য্য গত ২০শে জুন প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনকালে দেশবাসীর দৃষ্টি কাড়ে। অনেকে এই আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সৌন্দর্য পর্যটক আকর্ষণে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার হিসেবে দেখছেন। সবুজ পাহাড়ের বুকে সারি সারি লাল-সবুজের ঘর, প্রতিটি ঘরে সাদা ও লাল-সবুজের মিথস্ক্রিয়া। এ যেন বাংলাদেশের গর্বের লাল-সবুজের মিলিত প্রয়াস। দূর থেকে দেখলে মনে হবে কোনো পর্যটন স্পট।
এটি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের কালাপুর ইউনিয়নের মাজদিহি পাহাড়ে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্প। এখানে র্নিমিত হচ্ছে ৩০০টি ঘর। ইতিমধ্যে নির্মিত হয়েছে ১৫০টি। বাকিগুলোর কাজ চলছে। এ ছাড়া রাধানগর, মোহাজিরাবাদ, বেগুনবাড়ী, বিষামণিসহ বিভিন্ন জায়গায় আরও ৩০০টি ঘর নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৫০টি হস্তান্তর করা হয় সুবিধাভোগীদের মাঝে। বাকি ১৫০ ঘর নিমার্ণাধীন। এ প্রকল্পে পানি-বিদ্যুৎ সুবিধা, বিদ্যালয়, নারীদের প্রশিক্ষণের জন্য কমিউনিটি হল থেকে শুরু করে একটি শহরে যেমন সুযোগ-সুবিধা থাকে তার সবই থাকবে। সরকারের প্রতিটি বিভাগ এখানে সমন্বিতভাবে কাজ করছে। এই কর্মযজ্ঞ তত্ত্বাবধান করছেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। সময়-সময়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ ডক্টর মো. আব্দুস শহীদ, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান এবং জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা আসছেন তদারকি করতে। সবার সঙ্গে সমন্বয় করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় এর আগে গত ২৩শে জানুয়ারি ‘আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ এ স্লোগান নিয়ে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার আশিদ্রোন, শ্রীমঙ্গল সদর, ভুনবীর ও মির্জাপুর ইউনিয়নে মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে প্রথম ধাপে এ উপজেলার ১৫০ জন ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ খাসজমির মালিকানা দিয়ে ১৫০টি আধাপাকা নতুন ঘর দেয়া হয়েছিল। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আছাদুজ্জামান জানান, প্রত্যেকটি প্রকল্পের লোকেশন চমৎকার। চারদিকে সবুজ প্রকৃতি ঘেরা। তাই এখানে আমরা ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ গড়ে তুলব। আমরা ৩০ একর জায়গায় ৩টি ব্লকে ১ হাজার ৫০০ মানুষের জন্য ৩০০টি ঘর নির্মাণ করছি। এখানে বিদ্যুতের সংযোগ দেয়া হয়েছে। পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হয়েছে। নারীরা যেন প্রশিক্ষণ নিতে পারেন তাই একটি মাল্টিপারপাস কমিউনিটি হল নির্মাণ করা হবে। ‘মুজিববর্ষ’ নামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় হবে, মন্দির-মসজিদ হবে। শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নজরুল ইসলাম জানান, এই আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলোতে ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আমার গ্রাম- আমার শহর ধারণার প্রতিফলন ঘটেছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এর দিক নির্দেশনায় এখানে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ ও সুপেয় পানির পাশাপাশি আশ্রয়ণগুলোকে ঘিরে রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ, ইউডিসি, কমিউনিটি ক্লিনিক, বিদ্যালয়, হাট-বাজারসহ অন্যান্য নাগরিক সুবিধা’। ‘দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র শ্রীমঙ্গলের পর্যটন শিল্পের বিকাশে এই আশ্রয়ণগুলো নতুন উপযোগিতা সৃষ্টি করবে।  
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর