খুলনা বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কমেছে মৃত্যু, বেড়েছে শনাক্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় অদৃশ্য এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে শনাক্ত হয়েছেন ৩৬১ জন। খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিপ্ততর সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে কুষ্টিয়া জেলায়। বাকিদের মধ্যে খুলনায় ও যশোরে ৫ জন করে, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গায় ৩ জন করে, মাগুরায় ২ জন ও ঝিনাইদহে একজন মারা গেছেন। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছেন ৮৫ হাজার ৫৩৫ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ হাজার ৯৩ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৯ হাজার ১১৫ জন।
এদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গতকাল ভোর থেকে শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন। খুলনা মহানগরীর মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে পুলিশি চেকপোস্ট। তৎপর রয়েছেন প্রশাসনের সদস্যরা। অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার কোনো যাত্রীবাহী পরিবহন খুলনা থেকে ছেড়ে যায়নি। তবে রাতে যে সকল বাস ঢাকা থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়েছে তার দু’একটা দেখা গেছে। নগরীর প্রাণকেন্দ্র ডাকবাংলো মোড়ে কয়েকটি ফলের দোকান ছাড়া অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। দু’একজন চলাচল করলেও পুলিশের চেকপোস্টের কাছে এসে তাদের জবাবদিহি করতে হচ্ছে। অকারণে মোটরসাইকেলে ঘোরাঘুরির কারণে কয়েকজনকে পুলিশের মুখোমুখি হতে হয়েছে। আটক করা হয়েছে অনেক গাড়ি। দূরপাল্লার বাসের কয়েকজন যাত্রীকে মালামাল নিয়ে বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে গাড়ির জন্য। মূল সড়ক ফাঁকা থাকলেও নগরীর অলি-গলিতে রয়েছে জনসমাগম। খোলা রয়েছে চা ও কিছু মুদি দোকান। অর্ধেক শাটার নামিয়ে সেখানে চলছে সব বয়সী মানুষের আড্ডা। পুলিশের গাড়ি দেখা মাত্র দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যাচ্ছেন তারা। খুলনার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুস্মিতা সাহা জানান, সরকারি প্রজ্ঞাপনে যে নির্দেশগুলো দেয়া আছে সেগুলো জনগণ মানছে কিনা আমরা সেটা দেখবো। যৌক্তিক কারণ ছাড়া যারা ঘর থেকে বের হবে বা আড্ডা দিবে সেখানে আমরা অভিযান চালিয়ে তাদের বাড়ি পাঠানোর চেষ্টা করবো, এরপরও না শুনলে মামলা দিবো। দু’টি টিম নগরীতে কাজ করছে। তাদের সঙ্গে রয়েছে এপিবিএনের সদস্যরা। প্রয়োজনে অন্য বাহিনীর সদস্যরাও অভিযানের সঙ্গে যোগ হবে।