মাধবদীতে ঈদগাহ কমিটির সভাপতি উপস্থিত হওয়ার আগে ঈদের নামাজ শুরু করায় ইমামকে লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার মাধবদীর আমদিয়া ইউনিয়নের কায়েরবাড়ি কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদুল আজহার নামাজের পর ঈদগাহ কমিটির সভাপতি নাসির উদ্দিন পিন্টুর নেতৃত্বে এ লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটে। এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। মুসল্লিরা জানায়, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কায়েরবাড়ি কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজের জামাতের সময় নির্ধারণ নিয়ে স্থানীয় মসজিদে গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর উপস্থিত স্থানীয় মুসল্লিদের নিয়ে আলোচনায় বসে মসজিদ কমিটি। আলোচনায় সকলের মতামতের ভিত্তিতে ঈদুল আজহার নামাজের জামাতের সময় সকাল সাড়ে সাতটায় নির্ধারণ করা হয়। সে অনুযায়ী বুধবার ঈদের জামাতে উক্ত ঈদগাহ কমিটির সভাপতি নাসির উদ্দিন পিন্টু নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত না হলে তার জন্য অতিরিক্ত ৬ মিনিট অপেক্ষা করে ইমাম মাওলানা হাবিবুর রহমান উপস্থিত মুসল্লিদের অনুমতিতে নামাজ শুরু করেন। নামাজ শেষ হবার পরপর সভাপতি নাসির উদ্দিন পিন্টু ও তার আরেক সহচর রমজান মিয়া ঈদগাহে এসে উপস্থিত হন। এ সময় তার অনুপস্থিতিতে নামাজ শুরু করায় তিনি ইমামের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন।
ইমামকে বিভিন্ন গালাগালি ও ভয় ভীতি দেখানোর এক পর্যায়ে পিন্টু ও তার সহযোগী রমজান তার গায়ে হাত তুলতে গেলে উপস্থিত অন্য মুসল্লিরা তাদেরকে নিবৃত্ত করেন। সভাপতির এমন আচরণে ইমাম সাহেব কিংকর্তব্যবিমূঢ হয়ে পড়েন। পিন্টুর এমন আচরণে উপস্থিত মুসুল্লিরাও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ঈদগাহ কমিটি থেকে তার পদত্যাগ দাবি করেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পিন্টু বর্তমান আমদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আসন্ন আমদিয়া ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী আব্দুল্লাহ ইবনে রহিজ মিঠুর ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তার ক্ষমতায়ই পিন্টু বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।