গোপালগঞ্জে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ৩ বখাটে যুবকের হাতে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক কলেজছাত্রী। গত বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ৮টার দিকে গোপীনাথপুর ও চন্দ্রদিঘলিয়ার মাঝখানে রেল লাইনের পাশের একটি জঙ্গলে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল বিকালে ইন্টারমিডিয়েট প্রথম বর্ষের ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ঈদের দিন বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে আমি আমার দুই ভাগ্নেকে সঙ্গে নিয়ে বোনের বাড়ির পাশে রেল লাইনে ঘুরতে যাই। আনুমানিক রাত পৌনে ৮টার দিকে রেল লাইনের পাশ দিয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলাম। কিছুদূর যাওয়ার পর হঠাৎ ৩ বখাটে যুবক আমাদের গতিরোধ করে। একপর্যায়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা আমাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আমাকে এবং আমার দুই ভাগ্নের মুখ চেপে ধরে জোর করে টেনে হিঁচড়ে পাশের একটি জঙ্গলের ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে তারা আমার ১১ বছর বয়সের ও ৮ বছর বয়সের দুই ভাগ্নেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রেখে আমাকে ধর্ষণ করে। পরে আমি ও আমার ভাগ্নেরা চিৎকার করলে লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে ওই ৩ ধর্ষককে ধাওয়া করে।
এ সময় এলাকার শরিফুল নামে একজনকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করতে পারলেও বাকি দু’জন পালিয়ে যায়। গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ধর্ষিতা বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে ধষণের শিকার হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি দু’জনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পুলিশের কাছে আটক শরিফুল ঘটনার দ্বায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।