× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

গৃহকর্ত্রীর কাজল ব্যবহার করায় কাজের মেয়েকে নির্মম নির্যাতন

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
২৪ জুলাই ২০২১, শনিবার

পনেরো বছর বয়সী কিশোরী গৃহকর্মী তসলিমা গৃহকর্ত্রীর চোখের কাজল ব্যবহার করেছিল। বাসায় ফিরে তা দেখতে পেয়ে চরম ক্ষেপে যান গৃহকর্ত্রী ডাক্তার নাহিদা। তসলিমাকে নির্মমভাবে মারধর শেষে একটি রুমে টানা চারদিন আটকে রাখেন তিনি। একপর্যায়ে একটি সেলুনে গিয়ে তার মাথার চুলও ফেলে দেয়া হয়। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে গৃহকর্ত্রী ডাক্তার নাহিদা আক্তার রেনুকে (৩৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ডা. নাহিদা আক্তার রেনুর বাসা চান্দগাঁও আবাসিক হলেও তিনি মোহরার ওয়াসা বালুরটাল এলাকার ইউনুস কোম্পানির পুত্রবধূ। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিএস ও এফসিএস কোর্স শেষ করলেও কোথাও চাকরি করতেন না।
পুলিশ জানায়, গত বছরের জুলাই থেকে ডা. নাহিদার চান্দগাঁও আবাসিকের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করছিল তসলিমা। গত ১৮ই জুলাই বাসা পরিষ্কার করতে গিয়ে সে ড্রেসিং টেবিলের নিচে একটি কাজল পায়।
পরে ওই কাজল তার চোখে লাগায়। তা দেখে গৃহকর্ত্রী ডা. নাহিদা আক্তার তার ওপর নির্মম নির্যাতন করেন। কিল ঘুষি থাপ্পড় মারার পর তাকে একরুমে বন্দি করে রাখেন। পরের দিন একটা সেলুনে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তসলিমার চুলগুলো কাটানো হয়। এর পরও তাকে প্রতিদিন মারধর করা হয়। পরিবারের কারো সঙ্গে ঈদেও যোগাযোগ করতে দেয়া হয়নি। বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী তসলিমার বাবা তার কন্যার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। কিন্তু ডা. নাহিদা তাকে দেখতে দেননি। এরই মধ্যে জানালার ফাঁক দিয়ে মেয়েকে আটকে রাখতে দেখেন তার বাবা। সঙ্গে সঙ্গে তিনি চান্দগাঁও থানায় এসে ঘটনাটি পুলিশকে জানান। পুলিশ অভিযান চালিয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধার এবং অভিযুক্ত চিকিৎসক নাহিদাকে গ্রেপ্তার করে।
এই বিষয়ে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর বলেন, গৃহকর্মী তসলিমার পরিবারের দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা চান্দগাঁও আবাসিকের ওই বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠাই। পরে তার বাবা আবদুল গণির দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে ডা. নাহিদাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর