বরাবরই টাঙ্গাইলে ঈদ করেন কৃষক শ্রমিক জনতালীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। এবারও ব্যতিক্রম নয়। দু’দিন আগেই টাঙ্গাইলে গেছেন ঈদ পালন করার জন্য। তবে এখন আর ঈদ যেন সেভাবে খুশির বার্তা নিয়ে আসে না। ধর্মীয়ভাবে বাড়িতে থেকে যেটুকু পালন করা যায় সেটুকুই। আগে ঈদ মানেই ছিল বন্ধু-বান্ধব, নেতাকর্মী, আত্মীয়-স্বজনের মিলনমেলা, একজন আরেকজনকে বুকে টেনে নিয়ে কোলাকুলি করা একসঙ্গে বসে খাওয়া-দাওয়া করা। এবার কোরবানি ঈদ সহ চারটি ঈদ করোনার কারণে আমরা সেইভাবে পালন করতে পারলাম না। এবারও ঈদের দিনটি ঘরে বসেই কেটে যাবে কোথাও বের হবেন না বলে জানান- কাদের সিদ্দিকী।
বঙ্গবীর বলেন, করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে এখন তো আর ঈদগাহে ঈদ জামাত হয়না। মসজিদেই ঈদের নামাজ হয়। আমার বাড়ির সঙ্গে লাগানো মসজিদ। আমি ঘরে বসেই ঈদ জামাতে শামিল হবো। এর পরে কোরবানি হবে। ফোনে যতটুকু পারি সবার সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা আদান-প্রদান করবো। আমি গ্রাম্যলোক ইলেকট্রনিক ডিভাইস চালাতে পারি না। এ কারণে হোয়াটস্অ্যাপ বা ম্যাসেঞ্জারে কাউকে ভিডিও কলে শুভেচ্ছা জানাতে পারি না। এবার ঈদে আমার একটাই প্রত্যাশা আল্লাহ্ যেন মানুষকে সকল বালা-মুসিবত থেকে দূরে রাখেন। মানুষকে সুস্থ রাখেন। করোনার প্রায় দু’বছর হতে চলেছে তারপরও তো করোনা চলে যাচ্ছে না । তার মানে আমরা আল্লাহ্র কাছে সেইভাবে চাইতে পারি না। বাংলাদেশের রাজনীতি সম্পর্কে কাদের সিদ্দিকী বলেন, বর্তমান বাংলাদেশ রাজনীতিশূন্য। মানুষের জীবনের চেয়ে তো রাজনীতি বড় হতে পারে না। তবে রাজনীতিহীন বাংলাদেশে যা যা ঘটার কথা তাই ঘটছে। এদেশে এখন আর মানুষের ইচ্ছার কোনো মূল্য নেই। এ অবস্থা আর বেশিদিন থাকবে না। বাংলাদেশ একদিন সুস্থ হবে। সারা পৃথিবীও সুস্থ হবে আর স্বস্তি ফিরে আসবে। বাংলাদেশেও স্বস্তি ফিরে আসবে। আজ হোক আর কাল হোক মানুষের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে। মানুষের ইচ্ছা অনুয়ায়ী দেশ সেভাবে চলবে।