কোভ্যাক্সের আওতায় জাপান থেকে ২ লাখ ৪৫ হাজার ২০০ ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেশে আসছে। আজ দুপুরে ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে টিকার এই চালান দেশে আসবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন ঢাকার শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টিকার চালান বুঝে নেবেন। ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি ওই টিকা হস্তান্তর করবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তোশিমিৎসু মোতেগি ১৫টি দেশের জন্য ১ কোটি ১০ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভ্যাক্সের আওতায় দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ওই তালিকার আওতায় বাংলাদেশকে কয়েক ধাপে ৩০ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেবে জাপান। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস বা ‘গ্যাভি’ এবং কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনসের গড়া প্ল্যাটফর্ম হলো ‘কোভ্যাক্স’। অনুন্নত ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোও যাতে করোনাভাইরাসের টিকার ন্যায্য অংশ পায়, তা নিশ্চিত করতে এই প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা হয়েছে।
এর আগে গত ১৩ই জুলাই এক ফেসবুক পোস্টে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, কোভ্যাক্সের আওতায় জাপান ২৯ লাখ টিকা পাঠাবে। এছাড়া চীন ১০ লাখ ডোজ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ১০ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশকে দেবে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে কোভিশিল্ডের তিন কোটি ডোজ টিকা কেনার জন্য গত বছরের শেষ দিকে চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ। সেই টিকার প্রথম চালান পাওয়ার পর ৭ই ফেব্রুয়ারি সারা দেশে গণটিকাদান শুরু হয়। কিন্তু দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ পাঠানোর পর ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দিলে সংকটে পড়ে বাংলাদেশ। পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় ২৫শে এপ্রিল দেশে প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। যারা প্রথম ডোজে কোভিশিল্ড নিয়েছেন, তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যায়নি। সরকার চীনসহ বিভিন্ন উৎস থেকে বিভিন্ন কোম্পানির টিকা সংগ্রহের ব্যবস্থা করলেও যারা প্রথম ডোজে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েছেন, তাদের জন্য ওই টিকার বিকল্প নেই। প্রথম ডোজে আস্ট্রাজেনেকার টিকা পাওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ না পাওয়া অনেকেই এ টিকার অপেক্ষায় আছেন। এ পর্যন্ত যারা প্রথম ডোজ পেয়েছেন তাদের সবার দ্বিতীয় ডোজ পূর্ণ করতে হলে আরও ১৫ লাখ ২১ হাজার ৯৪৭ ডোজ টিকা দরকার। জাপান থেকে টিকা পেলে তার সামান্য একটি অংশ পূরণ হবে। কোভ্যাক্স থেকে ৬ কোটি ডোজের বেশি টিকা পাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। এর মধ্যে ফাইজার-বায়োএনকেটের তৈরি ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা এবং মডার্নার তৈরি ৫৫ লাখ ডোজ ইতিমধ্যে দেশে এসেছে। এর বাইরে চীনের উপহার হিসেবে পাঠানো এবং কেনা টিকা মিলিয়ে মোট ৫১ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা বাংলাদেশ হাতে পেয়েছে।