ঈদের আনন্দ মাটি হয়েছে দুই কিশোরের জীবনে। সিলেটের গোয়াইনঘাটের বিছনাকান্দি পর্যটন স্পটে বেড়াতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে তাদের। গত বৃহস্পতিবার বন্ধুদের নিয়ে বিছানাকান্দি বেড়াতে আসেন সিলেট শহরের গোয়াইপাড়ার মল্লিকা আবাসিক এলাকার ৮-১০ কিশোর। লোকাল গাড়িতে করে তারা সিলেটের গোয়াইনঘাটের পর্যটন স্পট বিছানাকান্দিতে আসেন। তবে আনন্দের জন্য বেড়াতে আসলেও বিছানাকান্দির পিয়াইনের প্রবল স্রোত ভাসিয়ে নিয়ে গেছে এই দুই কিশোরকে। জীবিত বেড়াতে আসলেও তারা বাড়িতে ফিরেছেন লাশ হয়ে। অল্প বয়সের সন্তানদের হারিয়ে তাদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার তারা পানিতে তলিয়ে গেলে অনেক খোঁজাখুঁজির পর গতকাল দুপুরে নিখোঁজ দুই কিশোর সাগর ও রোমেলের লাশ খুঁজে পান স্থানীয় এক পর্যটকবাহী নৌকাচালক।
মারা যাওয়া দুই কিশোর সিলেট শহরের ৫নং ওয়ার্ডের গোয়াইপাড়া মল্লিকা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা। এদের মধ্যে সাগরের বাবা মৃত পান্নু মিয়া ও রোমেলের বাবা আলী হুসেন। শুক্রবার তাদের লাশ উদ্ধারের পর সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে সিলেটের গোয়াইনঘাটের অপর পর্যটন স্পট জাফলংয়ে ঈদের দ্বিতীয় দিন বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে ইমরান আহমেদ (১৮) নামের এক পর্যটক নিখোঁজ রয়েছেন। সে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানার ফুলমালির চালা এলাকার ফরিদ মিয়ার ছেলে এবং ফজরগঞ্জ মাদ্রাসার ২০২১ সালের দাখিল পরীক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার বিকালে জাফলংয়ের ডাউকি নদীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় গোসল করতে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হন। পুলিশ ও নিহতের বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইমরান ও তার ১৪ জন বন্ধু-বান্ধব মিলে টাঙ্গাইল থেকে বৃহস্পতিবার সকালে জাফলংয়ে বেড়াতে আসেন। দুপুরের পর ইমরানসহ তিন বন্ধু জাফলংয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকায় নদীতে গোসল করতে নামেন। এ সময় সাঁতার না জানায় বন্ধুদের অগোচরে জাফলং পিয়াইন নদীর স্রোতের টানে পানিতে তলিয়ে যান ইমরান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শুক্রবার রাত আটটায়ও তাকে উদ্ধার করা যায়নি। নিখোঁজ ইমরানের খোঁজে গোয়াইনঘাট থানা, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা কাজ করে যাচ্ছেন। বিছনাকান্দিতে দুই পর্যটকের লাশ উদ্ধার ও জাফলংয়ে এক পর্যটক নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়াইনঘাট থানার ওসি পরিমল চন্দ্র দেব।