কুমিল্লা তিতাসে বিচার সালিশে দু'পক্ষের সংঘর্ষে ৯ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার আলীরগাঁও গ্রামের মোস্তফা মিয়ার বাড়িতে। আহতদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এর মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২ জনকে ঢাকা প্রেরণ করেন। তারা হলেন সুমন (৪০) ও রুহুল আমিন (২৫)। অন্য আহতরা হলেন, হাসান (২৬), কামরুল (৩৫), হাসান ড্রাইভার (৫৫), গিয়াসউদ্দিন (৪৫), শামীম (২২), হাবিব (১৫) ও সুরাজ (১৯। এসময় সংঘর্ষের খবর পেয়ে তিতাস থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি নৌকাকে  কেন্দ্র করে একই গ্রামের আলী মিয়া ও সুমনদের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এঘটনা মীমাংসার জন্য শুক্রবার বিকেলে ঐ গ্রামের মোস্তফার বাড়িতে ছাদির মেম্বারের সভাপতিত্বে এক সালিশ বৈঠক বসে। উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে জুরিবোর্ড রায় এনে উপস্থাপন করলে বিচারকগণের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয় পক্ষের ৯ জন আহত হয়।
এদিকে আহত সুমন বলেন, বিচারকরা সুন্দর ভাবে দু'পক্ষকে মীমাংসা করার জন্য রায় ঘোষণা করে। এতে কামরুল বিচারকের রায় না মেনে আমাদের উপর হামলা করে। অপরদিকে আহত কামরুল বলেন, সুমন একজন উচ্ছৃঙ্খল মানুষ। সে বিচারকদের সামনে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে বেদম মারপিট করেন।
সালিশ বৈঠকের সভাপতি ছাদির মেম্বার বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি নৌকার লগি ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনা মীমাংসার লক্ষে মোস্তফার বাড়িতে সালিশ বৈঠক বসে। বৈঠকে উভয়ের বক্তব্য শুনে জুরিবোর্ড রায় উপস্থাপন করলে মুহূর্তের মধ্যেই উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এঘটনায় উভয় পক্ষের ৯ জন আহত হয়েছে।
এবিষয়ে তিতাস থানার অফিসার ইনচার্জ সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, সংঘর্ষের খবর শুনে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি এবং পরিস্থিতি শান্ত আছে। এঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।