শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গতকাল দুপুর ১২টার সময় ফকির আলমগীরের মরদেহ নেয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। শিল্পীকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে আসেন তার স্বজন, ভক্তসহ সাধারণ মানুষ। উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের মধ্যে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মো. আখতারুজ্জামান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সদস্যরাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সদস্যরা। ফকির আলমগীরের সহধর্মিণী সুরাইয়া আলমগীর শহীদ মিনারে যারা এসেছেন শ্রদ্ধা জানাতে তাদের সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, এই শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ আর ফকির আলমগীরের কণ্ঠে মুখরিত হবে না। তার মতো বিপ্লবী কণ্ঠে উদ্ভাসিত হবে না এই প্রান্তর। তিনি চলে গেছেন সব বন্ধন ছিন্ন করে। যে গণসংগীতের মশাল এতোদিন বয়ে চলেছেন ফকির আলমগীর, সেটি যেন এই প্রজন্ম রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেয় সেই প্রত্যাশা করছি।
যেন এই ধারার সংগীতের মাধ্যমে মেহনতি মানুষের কথা বার বার উচ্চারিত হয়। এদিকে শহীদ মিনারে নেয়ার আগে সকাল ১১টায় খিলগাঁওয়ের পল্লীমা সংসদে ‘গার্ড অব অনার’ দেয়া হয় ফকির আলমগীরকে। সেখানেই তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দ্বিতীয় জানাজা হয় খিলগাঁও চৌধুরীপাড়া মাটির মসজিদে। সবশেষ বাদ জোহর তালতলা কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।