রাজশাহী, কুষ্টিয়া, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও চাঁদপুরে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কুষ্টিয়ায় ১৯, ময়মনসিংহে ১৭, রাজশাহীতে ১৪, চট্টগ্রামে ১১ ও চাঁদপুরে ৭ জন মারা যান। বিস্তারিত প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্টে
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জানান, কুষ্টিয়ার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে আরও ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনায় ১৫ জন এবং উপসর্গ নিয়ে চারজন মারা গেছেন। শনিবার (২৪ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে রোববার (২৫ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ থেকে জানান, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৭ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে করোনায় ১০ জন ও উপসর্গ নিয়ে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।
আজ মমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ফোকালপারসন ডা. মহিউদ্দিন খান মুন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ওদিকে স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে জানান, চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ১১ জন মারা গেছেন। একই সময়ে নতুন করে ৮০১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষার তুলনায় করোনা শনাক্তের হার প্রায় ৩৯ শতাংশ। আজ চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো করোনা-সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এদিকে স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকালে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ‘হাসপাতালের করোনা ইউনিটের বিভিন্ন ওয়ার্ডে সংক্রমণে দশ জন ও উপসর্গে চার জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে আট জন পুরুষ ও ছয়জন নারী। মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর আটজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন, নাটোরের একজন, পাবনার তিনজন ও চুয়াডাঙ্গার একজন ছিলেন।
ওদিকে চাঁদপুর প্রতিনিধি জানান, চাঁদপুর সরকারি সদর হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জন করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। অন্যজন করোনার উপসর্গে ভুগছিলেন। গত ২৪ ঘন্টায় এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
সদর হাসপাতালের করোনা বিষয়ক ফোকালপার্সন ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল জানান, মৃত ৭ জনের মধ্যে চাঁদপুর সদর উপজেলার ৩ জন, মতলব দক্ষিণ উপজেলার ১ জন, শাহরাস্থি উপজেলার ১ জন ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার ২ জন। ৬ জন করোনায় আক্রান্ত ও ১ জন করোনার উপসর্গে ভুগছিলেন। তার নমুনা টেস্টের রিপোর্ট অপেক্ষমান।