চকোলেট হোক বা ম্যাঙ্গো, স্ট্রবেরি বা বাটার স্কচ শেষ পাতে আইসক্রিম খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। রসনার তৃপ্তিতে আইসক্রিমের জন্য ৫০ থেকে ৫০০ কি বড় জোর ১০০০ টাকাও খরচ করেন। কিন্তু, তা বলে ৬০ হাজার টাকা! এ একেবারেই অবিশ্বাস্য। অনেকেই ভাবতে পারেন যে কোথাও কোনও ভুল হচ্ছে। কিন্তু, তা একেবারেই নয়। এটা একেবারে সঠিক কথা। শুধুমাত্র আইসক্রিমের একটি স্কুপের দামই ৬০ হাজার টাকা।
বরাবরই বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য বিখ্যাত দুবাই।
তা বিশাল অট্টালিকা, পাঁচতারা হোটেল হোক বা খাবারদাবার। বিশ্বের চমকপ্রদ সমস্ত উপকরণ যেন মজুত ওই শহরে। সম্প্রতি নতুন এক ধরনের বিরিয়ানি বানিয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল দুবাইয়ের একটি রেস্তোরাঁ। ওই রেস্তোরাঁর দাবি, তাঁদের তৈরি বিরিয়ানি নাকি বিশ্বের সবচেয়ে দামি বিরিয়ানি। যার এক প্লেটের দাম ২০ হাজার টাকা এবং তাতে রয়েছে ২৩ ক্যারেট সোনা। এবার আরও একটি তাক লাগানো কাণ্ড ঘটাল দুবাইয়ের Scoopi Cafe। ২৩ ক্যারেট সোনা দিয়ে তারা বানিয়ে ফেলল আস্ত একটা আইসক্রিম। যা কিনা বিশ্বের অন্যতম দামি মিষ্টির পদগুলির একটি।স্বর্ণখচিত এই আইসক্রিমটির নাম 'Black Diamond'। দাম ৬০ হাজার টাকা। এতে রয়েছে মাদাগাস্কারের বিখ্যাত ভ্যানিলা এবং ইতালিয়ান ব্ল্যাক ট্রাফেল । কথাতেই আছে 'পহেলে দর্শনধারি ফির গুণবিচারি', তাই সুস্বাদু খাবার দেখতে ভাল হওয়াটাও জরুরি। সেজন্য 'Black Diamond'কে সাজাতে ব্যবহার করা হয় ইরানিয়ান কেশর এবং সব শেষে উপরে ছড়িয়ে দেওয়া হয় ২৩ ক্যারেট সোনার ফ্লেক্স। কেবল সোনার আইসক্রিম নয়, Scoopi Cafe-তে পাওয়া যায় সোনার ক্যাপচিনো এবং সোনার বার্গার। সবেতেই ব্যবহার হয় ২৩ ক্যারেট সোনা। সেখানে রয়েছে চারকোল আইক্রিম। তার রং পুরো কালো। আর আইসক্রিমের ঠিক উপরের দিকে সোনার পাতা লাগানো রয়েছে। যদি কখনও সোনা চেখে দেখার ইচ্ছে হয়ে তাহলে অন্তত একবার ঢুঁ মারতে পারেন এই রেস্তরাঁয়।