(বলা হয়ে থাকে প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে। এই ফাঁদে নিয়মিত পড়ছে আমজনতা থেকে শুরু করে বিশিষ্টজন। এই ধারাবাহিকে বিশিষ্টজনদের প্রেমকাহিনী প্রকাশিত হচ্ছে। আজ এক জন্ম প্রেমিকের প্রেমের অন্তরঙ্গ কাহিনী। লিখেছেন জয়ন্ত চক্রবর্তী)
নয় নয় করে বয়স প্রায় ৫০ ছুঁলো। আজও তিনি ভারতীয়দের মধ্যে মোস্ট এলিজিবল ব্যাচেলর। নিজের জীবনের দুই অনির্বাণ, অম্লান প্রেমকে ভুলতে পারেননি বলেই কি রাহুল গান্ধী আজও অকৃতদার? রাহুল গান্ধী প্রথম প্রেমে পড়েন ভেরোনিকা কার্টেলির। লন্ডনে থাকার সময়ই তাদের প্রেমের উন্মেষ।
রাহুল গান্ধী হাসলে তার গালে একটা টোল পড়ে। কালাম্বিয়ার মেয়ে ভেরোনিকা নাকি এই টোলটি দেখেই পাগল হয়ে গিয়েছিলেন। দুজনকে একসঙ্গে দেখা যায় ক্রিকেট মাঠে বার্মিংহামে, স্প্যানিশ সমুদ্রসৈকতে, আন্দামানের অরণ্যে। এমনকি লাক্ষা দ্বীপে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, রবার্ট ভদ্র যখন সন্তানদের নিয়ে ছুটি কাটাচ্ছেন তখনও সেখানে রাহুল-ভেরোনিকাকে দেখা যায়। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম তখন ভুল করে ভেরোনিকার নাম লিখতো জুনাইটা। ২০০৩ সালে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে রাহুল তার প্রেমের কথা স্বীকার করে বলেন, নামটা জুনাইটা নয়, ওটা হবে ভেরোনিকা। এই গভীর, অন্তরঙ্গ সম্পর্ক বিয়েতে পরিণতি পেলোনা কেন? সোনিয়া গান্ধীর অপটিতে? ভেরোনিকার বাবা কলম্বিয়ার ড্রাগ ব্যবসায়ী বলে? দুর্জনেরা বলে, এটাই কারণ। তারা আরও বলে এখনও যে রাহুল মাঝে মাঝে বিদেশে উধাও হয়ে যান তা নাকি ভেরোনিকার সঙ্গ পাওয়ার জন্যই। কিন্তু, প্ৰেম তো কোনো শর্ত মানে না। তাই রাহুল গান্ধী আবার প্রেমে পড়েন আফগান রাজকন্যা নোয়েল জাহেরের। সুন্দরী, পেলোব্তনুর এই রাজকন্যা আফগানিস্তানে ১৯৩৩ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত রাজা থাকা নোয়েল জাহের শাহ এর নাতনি। তার পঞ্চম পুত্র শাহ দাউদ খান ও তার ইতালিয়ান পত্নীর সন্তান এই রাজকন্যা। ১৯৮০ সালে জন্ম। ফ্রান্সের সেন্ট ডোমিনিক থেকে বাণিজ্যে স্নাতক, লন্ডনের ওয়েবস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জুয়েলারির ডিগ্রি। দুজনের প্ৰেম এত গভীর হয় যে রাহুলকে দিল্লির আমন হোটেলে দেখা যায় নোয়েল এর ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে, ফ্রান্সের দরিয়ায় ইয়টে। কিন্তু, বিস্ময়ের ব্যাপার ২০১৩ সালে মিশরের রাজকুমার মোহাম্মদকে বিয়ে করে রাজকন্যা। দুর্জনেরা বলে, রাহুল-ভেরোনিকা উন্মত্ত প্রেমকাহিনী শুনেই নাকি সরে যান রাজকন্যা। দু, দুটি সম্পর্ক। দুটিই দানা বাঁধেনি। তাই, রাজনীতিই এখন প্ৰেম রাহুলের। মানুষী প্ৰেম থেকে অতীন্দ্রিয় প্ৰেম। এটাই বোধহয় জীবনের দস্তুর।