পর্নোগ্রাফির মামলায় শিল্পা শেঠির স্বামী রাজ কুন্দ্রা এখন পুলিশ হেফাজতে। এ মামলার তদন্তের স্বার্থে এরইমধ্যে শিল্পার বয়ান রেকর্ড করেছে মুম্বইয়ের অপরাধ দমন বিভাগ। পুলিশ জানায়, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাইবার অপরাধ দমন শাখায় পর্নো তৈরি এবং কিছু অ্যাপের মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেওয়া নিয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলার ভিত্তিতেই রাজ কুন্দ্রাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, পর্নো বানানোর পাশাপাশি তিনি তা বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে মুঠোফোনে ছড়িয়ে দিতেন। এদিকে পুলিশ শিল্পার কাছে জানতে চেয়েছে, স্বামী রাজ কুন্দ্রার পর্নোগ্রাফি ছবির ব্যবসার অভিযোগ সম্পর্কে তিনি অবগত ছিলেন কি না। শিল্পার বাসভবনে প্রায় ছয় ঘণ্টা অবস্থান করে পুলিশের ওই দল। অবশ্য স্বামীকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন শিল্পা।
মুম্বই পুলিশ আদালতকে জানিয়েছে, রাজ কুন্দ্র পর্নোগ্রাফি ছবি থেকে আয়কৃত অর্থ অনলাইনভিত্তিক জুয়ায় ব্যবহার করত। আর সে কারণে ইয়েস ব্যাংক ও ইউনাইটেড ব্যাংক অব আফ্রিকায় রাজের অ্যাকাউন্ট তদন্ত করা প্রয়োজন। পুলিশের ভাষ্যে শিল্পা শেঠি স্বামীর পর্নো-কাণ্ডে জড়িত নন। এদিকে রাজ কুন্দ্রার বেশ কয়েকটি কোম্পানি রয়েছে। গ্রুপকো ডেভেলপারস, টিএমটি গ্লোবাল, ভিভান ইন্ডাস্ট্রিজ, জেএল স্ট্রিম প্রাইভেট লিমিটেড তার স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। বিলাসবহুল জীবন যাপন করেন রাজ-শিল্পা দম্পতির। মুম্বইয়ে এ যুগলের রয়েছে বিরাট বাংলো। তাদের সম্পত্তির পরিমাণও অনেক। দুবাইয়ে এ দম্পতি বুর্জ খলিফার একটি ফ্লোরও নাকি কিনেছেন। রাজের সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৩৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় যা দুই হাজার ৬০০ কোটি রুপি। অন্যদিকে শিল্পা শেঠি অনেক বিখ্যাত ব্র্যান্ডের শুভেচ্ছাদূত ও মডেল। এ ছাড়া বিভিন্ন টিভি রিয়েলিটি শোয়ে বিচারক হিসেবে প্রচুর অর্থ আয় করেন শিল্পা। শিল্পা-রাজ যৌথভাবে মুম্বাইয়ের একটি জনপ্রিয় রেস্তোরা চালান। শিল্পার নেট সম্পত্তিমূল্য প্রায় ১৩৪ কোটি রুপি। সব মিলিয়ে রাজ ও শিল্পা শেঠির সম্পত্তিমূল্য দাঁড়ায় দুই হাজার ৭৩৪ কোটি রুপি, বাংলাদেশের মুদ্রায় যা তিন হাজার কোটি টাকার বেশি।