মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের জায়গীর বাসস্ট্যান্ডে আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে অবস্থিত ব্রিটানিয়া গার্মেন্ট প্যাকেজিং প্রতিষ্ঠানটি চলমান লকডাউনের কঠোর বিধিনিষেধ অমান্য করে চালু রাখা হয়েছে। মানা হচ্ছে না কোনো রকম স্বাস্থ্যবিধি। চালু রাখা এ গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠানটি এলাকার ব্যস্ততম হেমায়েতপুর-সিংগাইর- মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একই মালিকানাধীন জায়গীর বাসস্ট্যান্ডের দক্ষিণ পাশে ব্রিটানিয়া গার্মেন্ট প্যাকেজিং এবং তার বিপরীত দিকে উত্তর পাশে ট্যাগ প্যাকেজিং নামের দুটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সূত্র মতে জানা যায়, প্রতিষ্ঠান দুটিতে মোট সাড়ে ৪০০ কর্মী রয়েছে। ঈদ পরবর্তী গত ২৩শে জুলাই থেকে সরকারিভাবে কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে লকডাউন ঘোষণা করা হলেও এ প্রতিষ্ঠান দুটিতে তা মানা হয়নি। সরজমিন দেখা গেছে, গতকাল দুপুর ১টার দিকে বিরতির সময় মূল ফটক দিয়ে কর্মরত শ্রমিকদের েেত দেখা যায়। এ সময় এদের স্বাস্থ্যবিধি মানাতো দূরের কথা অনেকের মুখে মাস্ক পর্যন্ত দেখা যায়নি।
গার্মেন্ট শ্রমিকদের ছবি তোলার সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শ্রমিক সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তারা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের চাকরি হারানোর ভয় আছে বিধায় আমরা কিছুই বলতে সাহস পাই না। বাধ্য হয়ে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে মালিকের নির্দেশ মেনেই কাজ করতে হয়। তারা আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানের ভেতরে কাজ করার সময় কোনো সামাজিক দূরত্ব মানার সুযোগ নেই। গাদাগাদি করেই কাজ করতে হচ্ছে। তবে কয়েকজন কর্মীর করোনার উপসর্গ দেখা দেয়ায় তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে বলেও তারা জানান। ব্রিটানিয়া গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন বাড়ির মালিক নারী ইউপি সদস্য নূরজাহান বেগম অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশের সব গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলেও এ প্রতিষ্ঠানের মালিক যে কি ধরনের ক্ষমতাবান, তার প্রতিষ্ঠান কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না। এ ব্যাপারে ব্রিটানিয়া ও ট্যাগ প্যাকেজিংয়ের এমডি জহির আহম্মেদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।