নেত্রকোনার মদন উপজেলার বালালী গ্রামের আতঙ্ক মানব নামে পরিচিত আব্দুল গণি বেচুকে (৫০) কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। গত শনিবার সন্ধ্যায় তিয়শ্রী বাজারে রবিউলের চা সিংঙ্গাড়ার দোকানঘরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বালালী গ্রামের রবিকুল, আসাদুল ও ধনাই মিয়া নামে ৩ জনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। আটককৃতরা মদন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নিহত আব্দুল গণি বেচু বালালী গ্রামের সওদাগরের ছেলে ও একই গ্রামের সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি। তিনি এলাকায় আতঙ্ক মানব হিসাবে পরিচিত ছিলেন। জানা যায়, গত বছরের ১২ই জুন বালালী গ্রামের সুমন মিয়াকে বেচুর লোকজন মদন হাসপাতালের ভেতরে হামলা চালিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় সুমনের বড় ভাই পলাশ আব্দুল গণি বেছুকে প্রধান আসামি করে মদন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
হত্যা মামলায় জামিনে এসে সে পাশের মাখনা গ্রামে আত্মীয়ের মাখনা বাড়িতে আশ্রয় নেন। তিনি তিয়শ্রী বাজারে নিয়মিত যাতায়াত করতো। প্রতিদিনের ন্যায় শনিবার বাজারের রবিউল দোকানে বসতেই অতর্কিত ১০/১২ জন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলার করে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে তাকে হত্যা করে। মদন থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস আলম জানান, বালালী গ্রামের সুমন হত্যার জেরে এই হত্যাকাণ্ড। শনিবার সন্ধ্যার পর তিয়শ্রী বাজারের রবিউলের দোকান ঘরের ভেতর হতে আব্দুল গণি বেচুর লাশ উদ্ধার করে নেত্রকোনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশের গায়ে অনেক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। স্থানীয় লোকজন ৩ ঘাতককে আটক করে আমাদের নিকট সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।