× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পর্যটকশূন্য সরাইলের মিনি কক্সবাজার

বাংলারজমিন

মাহবুব খান বাবুল, সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়ীয়া) থেকে
২৬ জুলাই ২০২১, সোমবার

‘সরাইলের মিনি কক্সবাজার’। ১৫ বছর আগে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় প্রকাশিত (২০০৬ খ্রিস্টাব্দের ১লা অক্টোবর) একটি ফিচারের শিরোনাম থেকেই নামটির সূত্রপাত ঘটেছিল। সরাইল-নাসিরনগর সড়কের ধর্মতীর্থ এলাকার আকাশি হাওরের মাঝখানের এ স্থানটি ২০০১ খ্রিস্টাব্দ থেকেই স্থানীয় ও ভিন্ন জেলার পর্যটকদের কাছে টানছে। বর্ষায় স্থানটির নয়নাভিরাম মনোরম দৃশ্য নামের সঙ্গে মিলের সন্ধান দেয়। দুপুরের পর থেকে সেখানে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকত মানুষের পদচারণা। বাহারি গাড়িতে চড়ে সেখানে আসতেন বড় বড় শিল্পপতি ও সরকারি দপ্তরের কর্তাব্যক্তিরা। বিকালের ধর্মতীর্থে নানা শ্রেণি-পেশার নারী পুরুষ ও শিশুদের ভিড়ে তিল ধারণের জায়গা থাকতো না। মিনি কক্সবাজার খ্যাত স্থানটিতে দিন দিন পর্যটকদের আকর্ষণ বেড়েই চলছিল।
মহান জাতীয় সংসদে স্থানটিকে পর্যটন এলাকা ঘোষণা করে সকল সুবিধা ও নিরাপত্তার কার্যক্রম নিশ্চিতকরণের দাবি জানিয়েছেন তৎকালীন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা। বছরের দুই ঈদে সেখানে পর্যটকের স্রোত নামে। ঈদের পর ৩-৪ দিন এ ধারা অব্যাহত থাকতো। সড়কের দু’পাশে থাকতো ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও স্পীডবোট। আকাশি হাওরের পানিতে মনের আনন্দে ভ্রমণ করত পর্যটকরা। কেউ কেউ ভেসে যেত বিকালের শীতল হাওয়ায়। সড়কের পাশের সিমেন্টের তৈরি ব্লকে বসে ভালোবাসার গল্পে হারিয়ে যেতেন প্রেমিকযুগল। কিন্তু এবার কোরবানির ঈদে মহামারি করোনার কারণে ‘মিনি কক্সবাজার’ খ্যাত স্থানটির সকল কিছু হারিয়ে গেছে। সরকারের কঠোর বিধিনিষেধের কারণে থমকে আছে মিনি কক্সবাজার। লকডাউন চলাকালে বিনা প্রয়োজনে লোকজনের ঘর থেকে বের হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। পর্যটক ঠেকাতে দু’দিকে পাহাড়ায় রয়েছেন পুলিশ। পর্যটকশূন্য সেই মিনি কক্সবাজারে চলছে এখন সুনসান নীরবতা। সড়কের পাশে হাওরের পানিতে নেই কোনো নৌকা। মাইকের শব্দ নেই। নেই কোনো নাচ গান। হারিয়ে গেছে ফেরিওয়ালাদের শব্দ। নদীতে স্বচ্ছ পানির ঢেউ ও কলকল শব্দ আছে। সন্ধ্যায় পশ্চিম আকাশে লালচে সূর্য অস্তমিত হওয়ার মনোরম সেই দৃশ্য ঠিকই আছে। শুধু নেই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু পর্যটকরা। এত কিছুর পরও ঈদের দিন বিকাল থেকে শুরু করে গতকাল রোববার পর্যন্ত দূর-দূরান্তের কিছু পর্যটক অটোরিকশায় করে এসেছেন। পায়ে হেঁটে মূল স্পটে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। যেতে পারেননি। কারণ বিধিনিষেধের কারণে বাধা দিচ্ছেন পুলিশ। মন খারাপ করে ফিরে যাচ্ছেন ভ্রমণ পিপাসুরা। আবার অনেকেই চুপিসারে দূরবর্তী স্থানে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে একটু খোশগল্প করার চেষ্টা করছেন। স্বল্প সময়ের জন্য একটু হাঁটাহাঁটি করে হিমেল হাওয়া উপভোগ করছেন। এ বিষয়ে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল হক মৃদুল বলেন, মহামারি করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার দিচ্ছেন কঠোর লকডাউন। কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে সভা সমাবেশ বিনোদন কেন্দ্র ও জমায়েত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ ছাড়া বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়াও নিষেধ। তাই আমরা ঈদুল আজহার দিন থেকেই ‘সরাইলের মিনি কক্সবাজার’ খ্যাত স্থানটিতে পর্যটকদের যেতে দিচ্ছি না। সেখানে যেকোনো ধরনের জমায়েত প্রতিরোধে কাজ করছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর