× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিক্রি হয়নি টাঙ্গাইলের শাকিব খান ও ডিপজল

বাংলারজমিন

এমকে ভূঁইয়া সোহেল, বাসাইল (টাঙ্গাইল) থেকে
২৬ জুলাই ২০২১, সোমবার

টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের মিরিকপুর গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা কলেজছাত্র জোবায়ের ইসলাম জিসানের খামারে পালিত ক্রেতা আকৃষ্ট করা শাকিব খান এবং ডিপজল নামের ফ্রিজিয়ান জাতের দুটি ষাঁড় এবারের ঈদুল আজহা’র গরুর হাটে বিক্রি হয়নি। করোনাকালীন সময়ে ষাঁড় পালনের ব্যয়ভার বহন এবং পুনরায় বিক্রির শঙ্কায় রয়েছে এই খামারি। আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় খামারের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছেন। জানা যায়, পড়াশোনার পাশাপাশি প্রায় পাঁচ বছর আগে গরুর খামারের প্রতি আগ্রহী হয়ে তিনটি গরু নিয়ে খামার শুরু করে। গত আড়াই বছর আগে দুইটি ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় বিশেষ যত্ন নিতে শুরু করেন তিনি। সুঠাম দেহের অধিকারী ষাঁড় দুটির নাম দেন শাকিব খান ও ডিপজল। প্রায় সাত ফিট দৈর্ঘ্যের পুরো দেহে সাদার মধ্যে ছোট কালো ছাপের ডিপজলের ওজন ৩১ মণ এবং শাকিব খানের ওজন হয়ে ওঠে ৩০ মণ। এ বছর কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য অনলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করে শাকিব খানের দাম ১৩ লাখ এবং ডিপজলের দাম ১২ লাখ টাকা চাওয়া হয়।
খামারি জিসান জানান, অনেক ক্রেতা বাড়িতে আসতে শুরু করায় ষাঁড় দুটি বিক্রির জন্য কোনো হাটে নেননি তিনি। এদের কয়েকজন শাকিব খানের দাম ৮ লাখ আর ডিপজলের দাম ৭ লাখ টাকা বলেছেন। তবে এ সময় আরও বেশি দামের আশায় ষাঁড় দুটি বিক্রি করিনি। এরপর আর কোনো ক্রেতা আসেনি। তিনি আরও জানান, এ বছর করোনা মহামারির কারণে যারা বড় গরুর ক্রেতা বিশেষ করে শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক তারা অবাধে বাইরে বের হয়নি। ফলে খামারে থাকা বেশির ভাগ গরুই বিক্রি করা যায়নি। এ কারণে ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আগামী ঈদে ষাঁড় দুটি বিক্রি করা হবে বলেও তিনি জানান। বাসাইল উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. রৌশনী আকতার বলেন, জিসানের খামারে ষাঁড় দুটির বয়স কম। অল্প সময়ে বেশি মোটাতাজা করার খাবার না খাইয়ে ষাঁড় দুটি সম্পন্ন দেশীয় খাবারে লালন-পালন হয়েছে। এ কারণে পরবর্তী সময়ে ষাঁড় দুটি পালনে স্বাস্থ্যগত তেমন কোনো সমস্যার সম্মুখীন হবে না খামারি। এরপরও জিসানের ষাঁড় দুটি পালনে নিয়মিত পরামর্শসহ ভ্যাকসিন ও ওষুধ সরবরাহ করা হবে। তাছাড়া ঈদে গরু বিক্রি করতে না পারা খামারিদের জন্য সরকারিভাবে কোনো সহায়তা আসলেও তাকে দেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর