কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সেই সঙ্গে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর সারিও। ৫০ শয্যার দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এখন করোনা রোগীর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিণত হয়েছে। বেডে জায়গা না পেয়ে মেঝেতে গাদাগাদি করে রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আর চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। তবে চিকিৎসাসেবা ও করোনা রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে বলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্র নিশ্চিত করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দৌলতপুরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল দুপুর পর্যন্ত দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে রেফার্ড করার পর করোনা আক্রান্ত এসব রোগীর মৃত্যু হয়।
বর্তমানে করোনা আক্রান্ত হয়ে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৪ জন। এরমধ্যে অক্সিজেন সার্পোটে রয়েছেন ১৮ জন এবং ১০ জন রয়েছেন করোনা উপসর্গ নিয়ে। এ পর্যন্ত দৌলতপুরে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৬৫৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪৮ জনের। বর্তমানে ৬১১ জন করোনা আক্রান্ত রোগী হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন। সুস্থ হয়েছে ৯৭৭ জন। দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল হাসান তুহিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে ঈদের পর দৌলতপুরের প্রতিটি গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা উপসর্গের রোগী। আর এসব উপসর্গ নিয়ে স্থানীয় চিকিৎসকদের কাছ থেকে ওষুধ কিনে নিজের মতো করে চিকিৎসা নেয়ায় ঝুঁকি বাড়ছে সাধারণ মানুষের। দিন দিন রোগ পুষে রেখে একপর্যায়ে আশঙ্কাজনক অবস্থার সৃষ্টি হলে তখন তারা ছুটে যাচ্ছেন হাসপাতালে। তখন চিকিৎসকদের আর কিছুই করার থাকে না। তাই বিশেষজ্ঞদের অভিমত করোনা উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসা কেন্দ্রে গিয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ ও করোনা পরীক্ষা করে করোনার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি সকলকে করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।