২০১৪ ও ২০১৮ কমনওয়েলথে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে পরপর রুপা জিতেছিলেন আবদুল্লাহ হেল বাকি। ২০১০ কমনওয়েলথে জিতেছিলেন ব্রোঞ্জ। অতীতের সাফল্যে ভালো কিছু করার স্বপ্ন নিয়ে আবদুল্লাহ হেল বাকি গতকাল নেমেছিলেন টোকিও অলিম্পিকের আশাকা শুটিং রেঞ্জে। কিন্তু সেখানে সুবিধা করতে পারলেন না তিনি। বাছাইপর্বেই তার মলিন বিদায়ে প্রথম পদকের স্বপ্নে আরেকবার হৃদয় ভাঙলো বাংলাদেশের।
বাকির এটা দ্বিতীয় অলিম্পিক। এর আগে ২০১৬ রিও অলিম্পিকে বাছাইয়ে ৬২১.২ স্কোর করে ৫০ জনের মধ্যে ২৫তম হয়েছিলেন। এবার রিও অলিম্পিকের স্কোরও করতে পারলেন না বাকি! ৬১৯.৮ স্কোর করে বাছাইয়ে ৪৭ জনের মধ্যে ৪১তম হয়েছেন তিনি।
৬৩২.৭ পয়েন্ট পেয়ে চীনের হাওরান ইয়াং শীর্ষস্থানে থেকে চূড়ান্ত পর্বে উঠেছেন। তিনি বাছাইয়ে গড়লেন অলিম্পিক রেকর্ড। আর অষ্টম হয়ে চূড়ান্ত পর্বে যাওয়া সর্বশেষ শুটার চীনের লিহাও শেংয়ের পয়েন্ট ৬২৯.২। লিহাওয়ের চেয়েও ৯.৪ পয়েন্ট পিছিয়ে ছিলেন বাকি!
ক্যারিয়ারে নিজের সেরা স্কোর টপকে যাওয়ার আশায় ছিলেন তিনি। জার্মানি বিশ্বকাপে ৬২৪.৮ পয়েন্ট এখন পর্যন্ত বাকির সর্বোচ্চ স্কোর। সেই স্কোর টোকিওতেও ছাপিয়ে যেতে পারেননি। এবারের অলিম্পিকে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করেননি বাকি। তাই অলিম্পিকে যেতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) বিশেষ ব্যবস্থায় পাওয়া ওয়াইল্ড কার্ড নিয়ে টোকিওতে গেছেন নৌবাহিনীর শুটার। যাওয়ার আগে অন্তত ফাইনালে খেলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাকি। কিন্তু অতীতের মতো বাকি স্নায়ুচাপের কাছে হার মানেন। এদিনও স্কোরের ধারাবাহিকতার অভাবটাই ডুবিয়েছে বাকিকে। সাধারণত ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের বাছাইয়ে একজন শুটার ৬০টি শট নেয়ার সুযোগ পান। প্রতিটি শটের জন্য স্কোর ১০.৯ পয়েন্ট। যেখানে সেরা আটে ওঠা প্রত্যেক শুটার ১০ পয়েন্টের কমে কোনো শটই নেননি, সেখানে টানা কয়েকটি শট ৯-এর ঘরে মেরেছেন বাকি। প্রথম ৯টি শটে বাকি ১০-এর উপরে পয়েন্ট তুলে নেন। কিন্তু ১০ নম্বর শটে এসে প্রথম মারেন ৯.৪। এরপর টানা ৮টি শট দশের উপরে মারলেও ১৯তম শটে মারেন ৯.৭। এ ছাড়া ২৩ ও ২৪তম শটে মেরেছেন ৯.৮ ও ৯.৬। সব মিলিয়ে ৯-এর ঘরে শট মেরেছেন ১০ বার। এতেই পিছিয়ে পড়েন বাকি।