× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শনাক্ত বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ /একদিনে মৃত্যু ২২৮

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২৬ জুলাই ২০২১, সোমবার

একদিনের ব্যবধানে দেশে আবারো করোনার শনাক্ত ও মৃত্যু দুটোই বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ২২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু বেড়েছে ৩৩ জন। সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত মোট মারা গেলেন ১৯ হাজার ২৭৪ জন। মৃত্যুর পাশাপাশি বেড়েছে শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে ১১ হাজার ২৯১ জন শনাক্ত হয়েছেন। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৭৮০ জন। প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা।
এখন পর্যন্ত শনাক্ত হলেন ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৩৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ৫৮৪ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনা থেকে সুস্থ হলেন ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৯২৩ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৩০ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৫ দশমিক ৬২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩৭ হাজার ৯৭২টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৭ হাজার ৫৮৭টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭৪ লাখ ৫৫ হাজার ২৮১টি। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২২৮ জনের মধ্যে পুরুষ ১২৫ জন এবং নারী ১০৩ জন। দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে পুরুষ মারা গেলেন ১৩ হাজার ১৯৯ জন এবং নারী ৬ হাজার ৭৫ জন। তাদের মধ্যে ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ২ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ৬ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৩৩ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৭০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫০ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২২ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৮ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ২ জন, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছে ১ জন। মারা যাওয়া ২২৮ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ৬৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৪০ জন, রাজশাহী বিভাগের ২১ জন, খুলনা বিভাগের ৫০ জন, বরিশাল বিভাগের ৬ জন, সিলেট বিভাগের ১১ জন, রংপুর বিভাগের ১৬ জন, ময়মনসিংহ বিভাগের আছেন ১৫ জন। ২২৮ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৭৪ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৪০ জন, বাসায় মারা গেছেন ১৪ জন।
এদিকে বিভাগভিত্তিক শনাক্তের হার বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশের মোট শনাক্তের ৪২ দশমিক ১১ শতাংশ রোগী রয়েছেন ঢাকা বিভাগে। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৭৫৫ জন। এই বিভাগে শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৭৫ শতাংশ। ঢাকা জেলায় (মহানগর সহ) শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ২৯ শতাংশ। ময়মনসিংহ বিভাগে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪৫৯ জন। শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ। চট্টগ্রামে বিভাগে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৬৬৭ জন। শনাক্তের হার ৩৮ দশমিক ৮০ শতাংশ। রাজশাহীতে শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৬ জন। শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৫২ শতাংশ। রংপুর বিভাগে শনাক্তের সংখ্যা ৯২০ জন। শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ। খুলনা বিভাগে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ২৭৮ জন। শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। বরিশাল বিভাগে শনাক্তের সংখ্যা ৭৬৬ জন। শনাক্তের হার ৪১ দশমিক ৯৪ শতাংশ। একই সময়ে সিলেট বিভাগে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪৪০ জন। শনাক্তের হার ৩৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

ঈদের বন্ধে পরীক্ষা কম হলেও সংক্রমণের হার কমেনি: এদিকে গতকাল কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেছেন, ঈদের বন্ধে পরীক্ষা কম হলেও করোনা সংক্রমণের হার কমেনি। তিনি বলেন, জেলাভিত্তিক শনাক্তের হিসাবে ঢাকা শীর্ষে অবস্থান করছে। ঢাকায় ইতিমধ্যে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। তারপর আছে যথাক্রমে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট, বগুড়া, নারায়ণগঞ্জ, খুলনা, ফরিদপুর এবং সবচেয়ে কম সংখ্যক রোগী চিহ্নিত হয়েছে রাজশাহীতে ১৮ হাজার ৪১৬ জন। বিভাগভিত্তিক মৃত্যুর হারেও এগিয়ে আছে ঢাকা। এরপরই রয়েছে খুলনা বিভাগ। গত ৭ দিনের সংক্রমণ পরিস্থিতির দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে নমুনা সংগ্রহ কম হয়েছে, সে হিসাবে পরীক্ষা হয়েছে কম। ফলে মোট রোগীর সংখ্যা কমেছে। তবে শতকরা হিসেবে সংক্রমণের হার ৩০ শতাংশের নিচে নামেনি। বরং ২৪শে জুলাই ৩২ দশমিক ৫৫ শতাংশ রোগী শনাক্ত হয়েছে। ১৯শে জুলাই সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে ২৩১ জন। সবচেয়ে কম মারা গেছেন ২৩শে জুলাই ১৬৬ জন। ২৯তম এপিডেমিক সপ্তাহে ২৪শে জুলাই পর্যন্ত ২ লাখ ২ হাজার ১১৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় পরীক্ষার হার ২৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ কমেছে। ঈদের বন্ধের কারণে এই সংখ্যা কমতে পারে। তবে সুস্থতার হার ১৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়েছে বলেন তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে ডা. নাজমুল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে মোবাইল ভেন্টিলেটরগুলো এসেছে সেগুলো আমাদের বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে দেখছেন। এগুলো যখন যেখানে প্রয়োজন সেখানে স্থাপন করা হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর