× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আফগানিস্তানে বেসামরিক হতাহত বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৭ ভাগ- জাতিসংঘ

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) জুলাই ২৬, ২০২১, সোমবার, ২:৪৭ অপরাহ্ন

জাতিসংঘ বলেছে, আফগানিস্তানে বেসামরিক লোকজন হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ৪৭ ভাগ। এ পরিস্থিতিকে অনাকাঙ্খিত বর্ণনা করে সোমবার জাতিসংঘ বলেছে, তালেবান ও সেনাবাহিনীর মধ্যে লড়াই তীব্র হয়ে ওঠার প্রেক্ষিতে মে ও জুন দুই মাসে প্রায় ২৪০০ বেসামরিক মানুষ নিহত বা আহত হয়েছেন। ২০০৯ সালে এই রেকর্ড রাখা শুরু হয়। তারপর এই দুই মাসে নিহত বা আহতের সংখ্যা সর্বোচ্চ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।

জাতিসংঘের অ্যাসিসট্যান্স মিশন টু আফগানিস্তান (ইউএনএএমএ) এক রিপোর্টে বলেছে, তারা জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে বেসামরিক ৫১৮৩ জন হতাহতের রেকর্ড ডকুমেন্ট আকারে ধারণ করেছে। এর মধ্যে ১৬৫৯ জন নিহত হয়েছেন। গত বছরের তুলনায় একই সময়ে এই মৃত্যু শতকরা ৪৭ ভাগ বেশি।
আফগানিস্তানে বেসামরিক লোকজনের পরিস্থিতি যে কতটা করুণ, তা ফুটিয়ে তুলেছে এ অবস্থা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সেপ্টেম্বরের মধ্যে তার সব সেনাকে তুলে নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর আফগানিস্তানে মে ও জুন মাসে তালেবান ও সেনাবাহিনীর মধ্যে লড়াই তীব্র হয়েছে। আফগানিস্তান বিষয়ক জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি ডেবোরাহ লিওনস বলেন, তালেবান ও আফগান নেতাদের প্রতি আমি অনুরোধ করছি এই মারাত্মক সংঘাত এবং শীতলতার পথ, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর যে বিধ্বংসী প্রভাব ফেলবে তার প্রতি যত্মবান হতে। রিপোর্ট পরিষ্কার একটি সতর্কতা দিচ্ছে যে, এতে অনাকাঙ্খিত সংখ্যক আফগান বেসামরিক নাগরিক দুর্ভোগের চরমে পৌঁছে যাবেন। তারা বিকলাঙ্গও হতে পারেন যদি ক্রমবর্ধমান এই সহিংসতার লেশ টেনে না ধরা হয়।

জাতিসংঘ আরো সতর্ক করেছে যে, যদি আফগানিস্তানে সহিংসতা উল্লেখযোগ্যভাবে প্রশমিত করা না হয়, তাহলে এক বছরে সর্বোচ্চ সংখ্যক বেসামরিক মানুষ হতাহতের রেকর্ড গড়তে পারে ২০২১ সাল। গত দুই মাসে দেশটির বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ লড়াই হয়েছে। তালেবানরা বড় রকম অভিযান চালানোর কারণে এ লড়াই দেখা দিয়েছে। তারা গ্রামীণ বিভিন্ন জেলা, সীমান্তে ক্রসিং পয়েন্ট, প্রাদেশিক রাজধানীগুলোর চারপাশ ঘিরে রেখেছে। এর ফলে আফগান ও মার্কিন বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালাতে বাধ্য হয়েছে। মধ্য জুলাইয়ে ডিপিএ বার্তা সংস্থার চালানো এক জরিপে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের অর্ধেকেরও বেশি নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবানরা। তারপরও তারা প্রাদেশিক রাজধানীগুলোর দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

কাতারের রাজধানী দোহা’য় সঙ্কট সমাধানে আলোচনা চলছে। কিন্তু কূটনীতিকরা পূর্বাভাস দিয়ে বলেছেন, সেপ্টেম্বরে তা শুরু হলেও তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। ওদিকে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সেনা প্রত্যাহার এরই মধ্যে শতকরা ৯৫ ভাগের বেশি সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৩১ শে আগস্টের মধ্যে তা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর