দেশীয় চলচ্চিত্রের স্বনামধন্য অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা। শুরুতে প্রযোজক হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে পদার্পণ করেন তিনি। তার আসল নাম মাসুদ পারভেজ হলেও ‘সোহেল রানা’ নামেই তিনি সমধিক পরিচিত। মূলত চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে সোহেল রানা নাম ধারণ করেছিলেন তিনি। ১৯৭২ সালে মাসুদ পারভেজ ফিল্মস নামে চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা গড়েন তিনি। অন্তত ৩০টি চলচ্চিত্র তিনি প্রযোজনা করেছেন এই ব্যানারে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রথম চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’-এর প্রযোজক ছিলেন তিনি। কিন্তু পরে নায়ক খ্যাতির আড়ালে ঢাকা পড়ে যায় তার প্রযোজক পরিচয়টি।
এ অভিনেতা প্রায় ৬ বছর ধরে চলচ্চিত্রের বাইরে রয়েছেন। করোনার কারণে একদম গৃহবন্দি হয়ে আছেন। বয়স বাড়ার কারণে তার দেহে নানা রোগ বাসা বেঁধেছে। মাঝে মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই চলেন নিয়মমাফিক। ওষুধ-খাওয়া সবকিছুই সময়েরটা সময়ে করেন। সম্প্রতি সোহেল রানার সর্বশেষ অবস্থা জানতে যোগাযোগ করা হলে তিনি মানবজমিনকে বলেন, সবার দোয়ায় এখন মোটামুটি ভালো আছি। কিন্তু করোনার কারণে এভাবে বাসায় থাকতে থাকতে একটু একঘেয়েমি চলে এসেছে। তবে কিছু করার নেই। কথায় কথায় সোহেল রানা জানালেন, আগে বাসায় ৩টি পত্রিকা রাখতেন। শুরু থেকে শেষ অবধি পড়তেন। কিন্তু এখন সেটি আর সম্ভব হচ্ছে না। এমন অনেক কিছু জীবন থেকে বাদ দিতে হয়েছে করোনায় সাবধানতার কথা বিবেচনা করে। সোহেল রানা বলেন, ৪৬ বছর চলচ্চিত্রে কাজ করেছি। ৬ বছর আগেও কোথাও যেতে পারতাম না। মানুষজন ঘিরে রাখতো। এখন তো সব জায়গায় যেতে পারি। যারা চেনেন তারা তো চেনেনই। আর যারা চেনেন না তারা তাকিয়ে থাকেন। এটা আমাকেও কষ্ট দেয়। মাঝেমাঝে খারাপ লাগে। সবশেষ সোহেল রানা একটি অনুরোধও করেছেন। তিনি বলেন, আমার পুরনো ছবি আপলোড করবেন না। এটা আমাকে কষ্ট দেয়। কারণ পুরনো ছবিটা যখন দেখি আর আজকে যখন আমার ছবিটা দেখি সময়ের বিবর্তনে আমি অন্য জায়গায় চলে এসেছি। খারাপ লাগাটা তো স্বাভাবিক।