বাংলারজমিন
খুলনায় ভ্যাকসিন নিতে চরম ভোগান্তি
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
২০২১-০৭-২৭
খুলনা জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিতে আসা মানুষকে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। সিরিয়াল ভঙ্গ ও স্থান সংকটের কারণে মানুষের সমাগম ও টিকা দেয়ার এসএমএস জটিলতা নিয়ে টিকা কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা দেখা গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতার কারণে টিকা গ্রহীতাদের বেগ পেতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। যেখানে স্বাস্থ্যবিধি একেবারে মানা হচ্ছে না।
টিকা কেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন ষাটোর্ধ্ব সুফিয়া খাতুন। তিনি নগরীর পশ্চিম বানিয়াখামার বিহারী কলোনির বাসিন্দা। হাসপাতালে টিকা দেয়ার জন্য সকাল ৯টায় লাইনে এসে দাঁড়ান। কিন্তু সিরিয়াল আর আসে না বলে তিনি জানান। বেলা সোয়া ১১টায় তিনি এসএমএস চেক পয়েন্টের সামনে পৌঁছান। এর আগে পেছন থেকে এসে এক ভদ্র মহিলা কাগজপত্র দেখিয়ে ভেতরে টিকা দিতে চলে যান। তিনি সেখানে উপস্থিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ করেও কোনো সুফল পাননি। তানজিয়া খানম, খালিশপুর পোড়া মসজিদ এলাকার বাসিন্দা। স্বামীসহ এসেছিলেন টিকা নিতে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার বাসা যেহেতু খালিশপুর এলাকায় তার টিকা কেন্দ্র খালিশপুরস্থ তিতুমীর নেভী ক্যাম্পে। সেখানে না দিয়ে আমাদের জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখানে প্রচুর ভিড়। একে অপরের গা ঘেষে দাঁড়াতে হচ্ছে। অনেক কষ্ট করে বুথে গিয়েছি। সেখানেও আধাঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর ভ্যাকসিন নিয়েছি। তাছাড়া এখানকার ব্যবস্থাপনা মোটেই ভালো না। সিরিয়াল মেইন্টেইন নেই। সবকিছুর পরিবেশ বাজে। পর্যাবেক্ষণ কেন্দ্র নেই। ভ্যাকসিন দেয়ার পর অধাঘণ্টা ডাক্তারের পর্যবেক্ষণে থাকতে হয়। কিন্তু আমাদের টিকা দেয়ার পর বুথ থেকে বের করে দেয়া হয়।’ মাহাতাবুর রহমান, থাকেন গল্লামারী ব্যাংক কোয়ার্টারে। তিনি সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে টিকা গ্রহণের আবেদন করেছিলেন। এখনো মোবাইলে কোনো এসএমএস আসেনি। তিনি জেনেছিলেন যে এসএমএস ছাড়া টিকা দেয়া যায়। তাই গতকাল সকাল ৯টায় কেন্দ্রে এসে টিকা দেয়ার জন্য দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সেখানে অপেক্ষা করেন। অপেক্ষার ফলাফল না পেয়ে তিনি হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরে যান। খুলনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এস এম মুরাদ হোসেন জানান, ‘এখানে জায়গার স্বল্পতা রয়েছে। মানুষ সচেতন না। যতক্ষণ তারা নিজেদের ব্যাপারটা বুঝতে পারবে ততক্ষণ আমরা এ অদৃশ্য শত্রুর মোকাবিলা করতে পারবো না। অনেকেই অনেক ধরনের অভিযোগ করবে। সেটা ধরা যাবে না। আমরা নিয়মমাফিক আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আজও এ কেন্দ্র থেকে সাড়ে ৮শ’ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
টিকা কেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন ষাটোর্ধ্ব সুফিয়া খাতুন। তিনি নগরীর পশ্চিম বানিয়াখামার বিহারী কলোনির বাসিন্দা। হাসপাতালে টিকা দেয়ার জন্য সকাল ৯টায় লাইনে এসে দাঁড়ান। কিন্তু সিরিয়াল আর আসে না বলে তিনি জানান। বেলা সোয়া ১১টায় তিনি এসএমএস চেক পয়েন্টের সামনে পৌঁছান। এর আগে পেছন থেকে এসে এক ভদ্র মহিলা কাগজপত্র দেখিয়ে ভেতরে টিকা দিতে চলে যান। তিনি সেখানে উপস্থিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ করেও কোনো সুফল পাননি। তানজিয়া খানম, খালিশপুর পোড়া মসজিদ এলাকার বাসিন্দা। স্বামীসহ এসেছিলেন টিকা নিতে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার বাসা যেহেতু খালিশপুর এলাকায় তার টিকা কেন্দ্র খালিশপুরস্থ তিতুমীর নেভী ক্যাম্পে। সেখানে না দিয়ে আমাদের জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখানে প্রচুর ভিড়। একে অপরের গা ঘেষে দাঁড়াতে হচ্ছে। অনেক কষ্ট করে বুথে গিয়েছি। সেখানেও আধাঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর ভ্যাকসিন নিয়েছি। তাছাড়া এখানকার ব্যবস্থাপনা মোটেই ভালো না। সিরিয়াল মেইন্টেইন নেই। সবকিছুর পরিবেশ বাজে। পর্যাবেক্ষণ কেন্দ্র নেই। ভ্যাকসিন দেয়ার পর অধাঘণ্টা ডাক্তারের পর্যবেক্ষণে থাকতে হয়। কিন্তু আমাদের টিকা দেয়ার পর বুথ থেকে বের করে দেয়া হয়।’ মাহাতাবুর রহমান, থাকেন গল্লামারী ব্যাংক কোয়ার্টারে। তিনি সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে টিকা গ্রহণের আবেদন করেছিলেন। এখনো মোবাইলে কোনো এসএমএস আসেনি। তিনি জেনেছিলেন যে এসএমএস ছাড়া টিকা দেয়া যায়। তাই গতকাল সকাল ৯টায় কেন্দ্রে এসে টিকা দেয়ার জন্য দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সেখানে অপেক্ষা করেন। অপেক্ষার ফলাফল না পেয়ে তিনি হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরে যান। খুলনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এস এম মুরাদ হোসেন জানান, ‘এখানে জায়গার স্বল্পতা রয়েছে। মানুষ সচেতন না। যতক্ষণ তারা নিজেদের ব্যাপারটা বুঝতে পারবে ততক্ষণ আমরা এ অদৃশ্য শত্রুর মোকাবিলা করতে পারবো না। অনেকেই অনেক ধরনের অভিযোগ করবে। সেটা ধরা যাবে না। আমরা নিয়মমাফিক আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আজও এ কেন্দ্র থেকে সাড়ে ৮শ’ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।