শেরপুরে বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার অভিযোগে রাতের আঁধারে খলিলুর রহমান (২০) নামের এক যুবককে খুন করা হয়েছে। নিহত যুবক উপজেলার ২নং মডেল গাড়িদহ ইউনিয়নের গাড়িদহ মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত আজাহার আলীর পুত্র। তিনি গত বছর শেরপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। বর্তমানে পরিবারের অভাব অনটনের কারণে রাজ ও রং মিস্ত্রির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি একই ইউনিয়নের জোয়ানপুর কুঠির ভিটা পাড়ায় সিমির নামে তার এক বন্ধুর বিয়েতে অংশ নেয় খলিল। এরপর থেকে বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হতো খলিলের। এনিয়ে সিমির ও খলিলের মাঝে মতবিরোধ দেখা দেয়। বিষয়টি নিয়ে সিমিরের পরিবার থেকে খলিলের বড়ভাই খায়রুল ইসলামের কাছে অভিযোগ দেয়া হয়।
গত ২৫শে জুলাই বিকালে খলিল নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতে আর বাড়িতে ফিরে নাই। এর মাঝে খলিল মোবাইল ফোনে তার পরিবারকে জানায়, তার এক বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে এসেছে। তাই রাতে বাড়িতে যাবো না। অতঃপর গত রোববার সকালে শেরপুরে করতোয়া নদীর দক্ষিণ পাড়ে পাশের বাংড়া গ্রামের জনৈক শাহআলমের নার্সারির ভেতরে খলিলের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। বিষয়টি শেরপুর থানা পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরুত হাল রিপোর্ট প্রস্তুত শেষে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। খলিলের চাচা সাইদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, খলিলকে নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে রাতের আঁধারে চেতনানাশক ওষুধ সেবন করে হত্যা করা হয়েছে। তার পরনে ছিল একটি হাফপ্যান্ট আর শরীর ছিল প্রচণ্ড কাদামাখা। মৃতদেহের পাশেই পড়ে ছিল খলিলের ব্যবহৃত মোবাইলটি। শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. শহিদুল ইসলাম জানান, খলিলকে হত্যা করা হয়েছে কিনা বিষয়টি তদন্তের পর নিশ্চিত করে বলা যাবে। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শেরপুর থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওদিকে সিমিরের পরিবারের বক্তব্য জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে তাদেরকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীরা জানায়, তারা আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেছে।