× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শ্রীমঙ্গলে সাব রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

বাংলারজমিন

এম ইদ্রিস আলী, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) থেকে
২৭ জুলাই ২০২১, মঙ্গলবার

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব-রেজিস্ট্রার মোশারফ হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে জমির প্রকৃত মূল্য আড়াল করে দলিলে কম মূল্য দেখিয়ে সরকারের লাখ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন। তিনি এখন কুলাউড়ার সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে শ্রীমঙ্গল উপজেলার এই সাব রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়মিত কোনো সাব রেজিস্ট্রার নেই। ২০১৯ সালে ৩০শে অক্টোবর সাব-রেজিস্ট্রার আশেকুল হক অবসরে গেলে চলতি বছরের ২৪শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরাসরি কোনো সাব-রেজিস্ট্রার পোস্টিং দেয়া হয়নি। এই সময়ে সপ্তাহে একদিন শ্রীমঙ্গল সাব-রেজিস্ট্রারের অতিরিক্ত দায়িত্বে বিভিন্নজন দায়িত্ব পালন করেন। এতে জমি সংক্রান্ত কাজে সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
গত ২৪শে ফেব্রুয়ারি আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় মোহাম্মদ ইমরুল খোরশেদকে শ্রীমঙ্গল সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ দেয়। এর আগে তিনি ঢাকা উত্তরা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত ছিলেন। আইন মন্ত্রণালয় হতে গত ২৪শে ফেব্রুয়ারি বদলি হলেও ইমরুল খোরশেদ একই বছরে ৪ঠা এপ্রিল শ্রীমঙ্গল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যোগদান করেন।
এর কয়েক দিনের মাথায় তিনি অবকাশকালীন ছুটিতে গেলে আবারও সাব-রেজিস্ট্রিার পদটি শূন্য হয়। এতে করে জনদুর্ভোগ তীব্র আকার ধারণ করে। এ অবস্থায় জেলা রেজিস্ট্রার কুলাউড়া উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব-রেজিস্ট্রার মোশারফ হোসেন চৌধুরীকে শ্রীমঙ্গলে অতিরিক্ত দায়িত্বে পোস্টিং দেন। বর্তমানে তিনি কুলাউড়া ও কমলগঞ্জ উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, মোশারফ হোসেন চৌধুরী এ অফিসে দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রায় ৩ মাসের মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের দলিল যেমন সাফ কবলা, হেবা দলিল ঘোষণা, দানপত্র, দানের ঘোষণা, বাটোয়ারানামা (যার নং:১৩৭২, ১৪১৪, ১৫১৬, ১৫২৭, ১৫১৮, ১৬২২, ১৬৩২, ১৬৫৮, ১৭৫১, ১৭৬২, ১৭৭৪, ১৮৮৫, ১৯২৫, ১৯৯৩, ২০২৮, ২২৭৮, ২৩১২, ২৩৫৫, ২৪৫০, ২৫৩৪/২০২১) দলিলসমূহের রেজিস্ট্রিকালে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের ১ শতাংশ হারের উৎসে আয়কর জমা প্রদান না করেই দলিল সম্পাদন করেন। অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, একটি চক্র জনৈক আজিজুনেছা নামে এক নারীর ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে যাত্রাপাশা মৌজার এসএ দাগ নং-২৬৬৮, বিএস, দাগ নং-২৮৭২, ৯ একর ৭০ শতাংশ বোরো শ্রেণির জমি শহরের একটি রেস্ট হাউজে কমিশনে রেজিস্ট্রি সম্পাদন করার চক্রান্ত করছিল। পরবর্তীতে এনআইডি কার্ড জালিয়াতির ঘটনাটি জানাজানি হলে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ ওই ভুয়া দলিলপত্র জব্দ করে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব-রেজিস্ট্রার মোশারফ হোসেন চৌধুরী তার বিরুদ্ধে আনা ঘুষের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব সত্য না। ওরা দলিল লেখক, ফাঁকি দিছে হয়তো। একদিনের অফিসে দলিলের চাপ ছিল বেশি। এতো দলিল দেখা সম্ভব না। একদিনে দুইশ’র মতো দলিল হইলে কি দেখা যায়? হয়তো ফাঁকে সই নিয়ে গেছে। রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে থাকলে টাকা দিয়ে দেবে। এতে আমি লাভবান হবো কীভাবে? আমি তো কারও কাছ থেকে দশ পয়সাও নেইনি, খাইনি, ছুইওনি। হয়তো এতো দলিলের মধ্যে কোনখান দিয়ে দলিল লেখক সাধারণত রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করে। আমরা ধরার চেষ্টা করি। তারা হয়তো ফাঁকি দিচ্ছে, চুরি করে দিচ্ছে। যদি স্পেসিফিক অভিযোগ থাকে, তাহলে তারা রাজস্ব দিয়ে দেবে। বাকি অভিযোগগুলো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার মাত্র।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর