জেলা প্রশাসনের সঙ্গে ফিলিং স্টেশন মালিকগণ বৈঠকের পর ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন। গতকাল দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের এমপি নেছার আহমদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তানিয়া সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মেহেদী হাসান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা রহমানসহ অন্যরা।
জানা যায়, চলমান করোনার সংক্রমণ ও লকডাউন চলাকালে প্রশাসন সিএনজি, টমটম ও ব্যক্তিগত গাড়িতে তেল বা গ্যাস না দেয়ার জন্য মৌখিকভাবে নিষেধ করে। তবে প্রশাসন জরুরি রোগী বহনকারী গাড়িতে দেয়ার জন্য মৌখিকভাবে বলেন। এনিয়ে লকডাউন শুরুর পর থেকে প্রশাসন, ফিলিং স্টেশন মালিক ও জরুরি রোগী বহনকারীদের বাকবিতণ্ডা চলে আসছে। গত রোববার মেসার্স সাজ্জাদুর রহমান সিএনজি অ্যান্ড ফুয়েল ফিলিং স্টেশনে গর্ভবতী এক নারী, ২ বছরের অসুস্থ শিশু ও একজন ক্যান্সার রোগীকে নিয়ে পৃথক তিনটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা করে আসেন। ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে থাকা চিকিৎসাপত্র দেখে মানবিক কারণে গ্যাস দেন। ওই গ্যাস দেয়ার অভিযোগে ফিলিং স্টেশনকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ সময় ফিলিং স্টেশন কর্মচারীরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটকে অটোরিকশার ভেতরে অসুস্থ রোগী রয়েছেন তাৎক্ষণিক দেখান। তা বিচেনায় না এনে একতরফাভাবে জরিমানা করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, কয়েকদিন পূর্বে ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার ও কর্মচারীকে নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে ধরে নেয়ার। এ সকল ঘটনার প্রেক্ষিতে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ফিলিং স্টেশনের মালিকগণ গত রোববার বিকাল থেকে ফিলিং স্টেশন বন্ধ করে ধর্মঘটে যান। ধর্মঘট চলাকালে সরকারি গাড়ি, এম্বুলেন্স, কৃষি কাজে ব্যবহৃত পাওয়ার টিলারসহ সকল যানবাহনে তেল সরবরাহ থেকে তারা বিরত থাকেন। সৃষ্টি হয় পুরো জেলাজুড়ে অচলাবস্থা।
জানা যায়, মেসার্স সাজ্জাদুর রহমান সিএনজি অ্যান্ড ফুয়েল ফিলিং স্টেশনের স্বত্বাধিকারী মনোয়ার আহমদ রহমান ও ইকবাল সিএনজি ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার নান্টু দাস বলেন, দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে বাকি ৬৩ জেলায় এরকম আইন নেই। শুধুমাত্র মৌলভীবাজার জেলায় গ্যাস-পেট্রোল দিতে প্রশাসনের বাধা। আমরা লিখিত নির্দেশনা চাইলেও সেটা দেয়া হয়নি। ধর্মঘটের বিষয়টি আমরা সিলেট বিভাগীয় নেতৃবৃন্দকে জানিয়ে ধর্মঘটে যাই। এ ব্যাপারে গতকাল জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, ফিলিং স্টেশন মালিকদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকে জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহনকে তেল ও গ্যাস দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তাদেরকে সরকারি প্রজ্ঞাপনের একটি কপিও দেয়া হয়েছে