ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে করোনা আক্রান্তের হার বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যে করোনা কেড়ে নিয়েছে গৃহবধূ ঊশা রানী দাস (৫৩)এর প্রাণ। ঊশা রানী উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের দাসপাড়া গ্রামের সুকুমার দাস ওরফে মণ্টু দাসের স্ত্রী। গতকাল পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ জন। এ নিয়ে করোনা আতঙ্কে চারিদিকে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনা টেস্ট ও টিকা গ্রহণে মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ এখনো মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। পরছেন না মাস্ক।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত ১৩ই জুন থেকে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ধাপের টিকা গ্রহণ কার্যক্রম। আগের চেয়ে এবার টিকা গ্রহণ ও নমুনা পরীক্ষার প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়েছে কয়েকগুণ। এখন লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে নমুনা দিচ্ছেন নারী-পুরুষরা। এরপরও উপচে পড়া ভিড়। শুধু গত শনি ও রবিবার ২ দিনে র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করেছেন ৪০ জন। করোনা পজেটিভ এসেছে ২৭ জনের। ২ দিনে এখানে করোনায় আক্রান্তের হার ৬৭.৫ শতাংশ। যা সত্যিকার অর্থেই ভয়ের কারণ। এ ছাড়া প্রথম ধাপে টিকা গ্রহণে মানুষের মধ্যে ছিল অনীহা। কিন্তু গত ১৩ই জুলাই থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় ধাপে টিকা গ্রহণে আগ্রহ অনেকগুণ বেড়ে গেছে। গত ১৩ দিনে এখানে টিকা গ্রহণ করেছেন ১ হাজার ২৬২ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৭৬৩ জন ও মহিলা ৪৯৯ জন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. নোমান মিয়া বলেন, পরিস্থিতি ভালো না। আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেড়েই চলেছে। প্রথম দিকে লোকজন বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি। এখন মানুষের মধ্যে কিছুটা ভীতির সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সচেতনতা বৃদ্ধি পায়নি। সকলকে আরও সচেতন হতে হবে। যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।