× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চ্যাম্পিয়নশিপ লীগের চার দলকে ঘিরে তদন্ত

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২৬ জুলাই ২০২১, সোমবার

সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লীগে পাতানো ম্যাচ খেলার অভিযোগ উঠেছে চারটি ক্লাবের বিরুদ্ধে। এরমধ্যে চ্যাম্পিয়ন স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের নামও রয়েছে। স্বাধীনতার দু’টি ম্যাচ নিয়ে বাফুফেকে অভিযোগও করেছে রানার্সআপ ফর্টিস ক্লাব। গণমাধ্যমে এ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ায় সংশ্লিষ্ট চার ক্লাবকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। স্বাধীনতা ছাড়া চিঠি পাওয়া বাকি তিন ক্লাব হলো কাওরান বাজার, ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ও ঢাকা সিটি এফসি।
স্বাধীনতা সংঘ বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লীগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। বাফুফে ইতিমধ্যে তাদের ট্রফিও দিয়েছে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে আগামী মৌসুমে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে খেলার স্বপ্ন দেখছে ক্লাবটি।
এখন স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রিমিয়ার লীগে খেলবে কোন্‌ দল এ নিয়ে নতুন সংকট তৈরি হবে। এদিকে ফর্টিজ ক্লাব বাফুফেকে এক পৃথক চিঠি দিয়েছে পাতানো ম্যাচের অভিযোগ জানিয়ে। তাদের সন্দেহের তীর স্বাধীনতার দুইটি ম্যাচ ঘিরে। বাফুফে অবশ্য ফর্টিজের চিঠির চেয়ে মিডিয়ার রিপোর্টকে গুরুত্ব দিয়ে চার ক্লাবকে তলব করেছে। তবে লীগ শেষ হওয়ার পর হঠাৎ চারটি ক্লাবকে পাতানো ম্যাচের চিঠি দেয়াটা ফুটবল সংশ্লিষ্ট অনেকের কাছে রহস্যাবৃত। কেউ কেউ আবার এখানে স্বজনপ্রীতির গন্ধ খুঁজছেন!
এদিকে তদন্ত চলছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের পাঁচটি ম্যাচ নিয়ে। বাফুফে সূত্রে জানা যায়, লীগে হয়ে যাওয়া পাঁচটি ম্যাচে স্পট ফিক্সিং ও ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ রয়েছে। এই ম্যাচগুলো হয়েছে ঢাকা আবাহনী, মোহামেডান, শেখ রাসেল ও বসুন্ধরা কিংসের মতো বড় দলগুলোর সঙ্গে। জানুয়ারি মাসের ১৯ তারিখ ব্রাদার্স ইউনিয়ন বনাম ঢাকা আবাহনীর ম্যাচ নিয়ে রয়েছে অভিযোগ। এ ম্যাচে ব্রাদার্সকে ২-০ গোলে হারায় ঢাকা আবাহনী। ২৩শে জানুয়ারি ব্রাদার্সের সঙ্গে কিংসের ম্যাচে তালিকার অন্তর্ভুক্ত। কিংস ম্যাচটি জিতে নেয় ১-০ গোলে। এ ছাড়া আরামবাগের তিনটি ম্যাচে অভিযোগ তোলা হয়েছে। যেখানে ১৭ই জানুয়ারি আরামবাগের বিপক্ষে মোহামেডানের ম্যাচটি অন্তর্ভুক্ত। ব্রাদার্স মোহামেডানের কাছে ৩-০ গোলে হারে ম্যাচটি। ৯ই ফেব্রুয়ারি শেখ রাসেলের বিপক্ষে আরামবাগের ম্যাচটি নিয়েও আছে অভিযোগ।
এই ম্যাচে রাসেলের কাছে ৪-০ গোলে হারে আরামবাগ। আবাহনীর সঙ্গে ১৩ই ফেব্রুয়ারি আরামবাগের ম্যাচটিও রয়েছে তদন্তের তালিকায়। ম্যাচটিতে ৪-০ গোলে আবাহনীর কাছে হারে আরামবাগ। অভিযোগের পর এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন স্বয়ং বাফুফেকে ম্যাচগুলো তদন্তের নির্দেশনা দিয়েছিল। বাফুফের নির্বাহী কমিটি নতুন করে পাতানো খেলা শনাক্তকরণ কমিটি গঠন করে। সেই কমিটি ইতিমধ্যে কয়েকটি সভা করলেও ওই ম্যাচগুলোর বিষয়ে এখনো পূর্ণাঙ্গ সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। এএফসির নির্দেশনা অনুযায়ী বাফুফে পাতানো ম্যাচের পরিপূর্ণ সিদ্ধান্ত হওয়ার আগে মিডিয়ায় কোনো বক্তব্য দিতে পারছে না। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ব্রাদার্স ও আরামবাগের ইস্যুতে প্রায় ৭৫-৮০ শতাংশ তদন্ত সম্পন্ন। একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্ত করছেন। জানা গেছে, ওই কর্মকর্তা এরিমধ্যে বিভিন্নজনের ফোনাআলাপ, ম্যাচ সংশ্লিষ্ট নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছেন। লকডাউন শেষে বিষয়টি নিয়ে সভা করে বাফুফের কাছে রিপোর্ট জমা দেয়ার কথা রয়েছে তদন্ত কমিটির।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর