জিম্বাবুয়ে সফরে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি তিন ফরম্যাটেই দারুণ ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ দল। এমনকি তিন ফরম্যাটেই ব্যাটিং পরিকল্পনাতে দারুণ পরির্তন দেখা গেছে। তাহলে কি এক সিরিজের জন্য টাইগারদের সঙ্গে যোগ দিয়ে নিজের ঝলক দেখালেন ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স! তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) যে প্রিন্সকে মনে ধরেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ তার সঙ্গে এরই মধ্যে বিসিবি চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে এ বছর অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত। গতকাল বিষয়টি দৈনিক মানবজমিনকে নিশ্চিত করেছেন বিসিবি’র ক্রিকেট পরিচালক বিভাগের প্রধান আকরাম খান। তিনি বলেন, ‘এটা (ব্যাটিং কোচ) নিয়ে আমরা গত ২-৩ দিন বৈঠক করেছি বোর্ড সভাপতির সাথে। যেহেতু আমরা ওকে শুধু জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য নিয়োগ দিয়েছি, আমরা ফিডব্যাকও নিয়েছি কিছু। কিছু প্লেয়ারের সঙ্গে কথা বলেছি, দেখলাম তারা বেশ আস্থা রেখেছে ওর ওপর।
ওরা তার কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট। আমাদের পরিকল্পনা তাকে নিয়ে এগোনো। যেহেতু বিশ্বকাপের আগে কোচ পাওয়া (কঠিন হবে), প্লেয়াররাও তার ওপর আস্থা রেখেছে। জিম্বাবুয়েতে দেখলাম কিছু ব্যাটসম্যান চমৎকার ব্যাটিং করেছে। সবকিছু মিলিয়ে আমরা চিন্তা করছি তাকে নিয়ে এগোতে। এতটুকু কনফার্ম বিশ্বকাপ পর্যন্ত সে আছে, এর বাইরে কতদিন থাকবে সেটা আমরা ৬-৭ দিনের মধ্যে জানিয়ে দেবো।’
জিম্বাবুয়ে সফরের আগে প্রিন্সকে ব্যাটিং কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয় বিসিবি। তবে নিয়োগপ্রাপ্তির সময় প্রিন্সের অ্যাসাইনমেন্ট ছিল শুধু জিম্বাবুয়ে সফরই। জিম্বাবুয়ের মাটিতে টাইগাররা তিন ফরম্যাটে ভালো করেছে, প্রিন্সও তার কাজ দিয়ে সন্তুষ্ট করেছেন বোর্ডের নীতি-নির্ধারকদের। আগামী অক্টোবরে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। প্রিন্স গুরুত্বপূর্ণ এই তিন সিরিজেও টাইগারদের ব্যাটিং ইউনিটের দেখভাল করবেন। বিশ্বকাপ পর্যন্ত তার কাজ সন্তোষজনক হলে আবারও বাড়তে পারে চুক্তির মেয়াদ।
৪৪ বছর বয়সী এই কোচ দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দলের হয়ে ৬৬টি টেস্ট, ৫২টি ওয়ানডে ও ১টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। টেস্টে ১১টি শতক ও ১১টি অর্ধশতক এবং ওয়ানডেতে ৩টি অর্ধশতক আছে তার। লেভেল ‘৩’ ডিগ্রিধারী এই কোচের আছে কয়েক বছর ধরে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা। কোচিং করিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’ দলকেও। স্বল্প সময় কাজ করা জন লুইসের পর ব্যাটিং কোচ হওয়ার দৌড়ে ছিলেন বেশ কয়েকজন কোচ, ছিলেন সাবেক প্রধান কোচ জেমি সিডন্সের মতো হেভিওয়েটরাও। তবে সবাইকে টপকে প্রিন্সই বসেন টাইগারদের ব্যাটিং কোচের আসনে।