এই সময়ে কাজের ধরণ বেশ বদলে গেছে। একটা সময় সবাইকে পরিবারের মনে হতো। কিন্তু এখন সেই উচ্ছ্বাস আর নেই। তবুও কাজ করতে হচ্ছে। ক্যারিয়ারের এই সময়ে এসে তো আর যে কোনো চরিত্রে কাজ করা সম্ভব না। তাই চেষ্টা করছি আমার সঙ্গে যায় এমন চরিত্রে কাজ করতে। নিজের ব্যস্ততা প্রসঙ্গে এভাবে কথা গুলো বলছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা সমু চৌধুরী। মাঝে এই অভিনেতা অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন।
কিন্তু এখন আবার নিয়মিত কাজ করছেন। টিভি নাটকের পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও দারুণ ব্যস্ত তিনি। বর্তমানে তার হাতে ছয়টি চলচ্চিত্র আছে। এগুলো হলো ‘লিডার-আমিই বাংলাদেশ’, ‘দামাল’, ‘কথা দিলাম’, ‘অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া’, ‘চরিত্র’ ও ‘মনোলোক’। প্রতিটি ছবিতে অভিনেতাকে নতুন নতুন চরিত্রে দেখা যাবে বলে জানান তিনি। ১৯৯৫ সালে আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘আদরের সন্তান’ ছবির মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় তার। ছোটপর্দায় ধারাবাহিকের বাইরে একক নাটকেও অভিনয় করছেন এই অভিনেতা। ঈদের জন্য মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘শুভ+নীলা’, মাহমুদুর রহমান হিমির ‘ভালোবাসার বটি-কাবাব’, চৈতালি সমাদ্দারের ‘মাগফেরাত’ ও প্রতিক শাহজানের ‘বিপরীতে তুমি’ নাটকে অভিনয় করেছেন বলে জানান তিনি। এছাড়া তার হাতে আছে ‘মাশরাফি জুনিয়র’, ‘অ্যানালগ লাইফ’ ও ‘আলো আঁধার’সহ কয়েকটি ধারাবাহিক নাটক। বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারের অপেক্ষায় আছে সমু অভিনীত ‘জিন্দবাহার’ শিরোনামের আরও একটি ধারাবাহিক নাটক। দীর্ঘ সময় অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত আছেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় অভিনয়ে সবাই টিকে থাকতে পারে না। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম৷ এ নিয়ে আপনার মন্তব্য কী? উত্তরে এ অভিনেতা বলেন, অভিনয় করা আর শিল্পী হয়ে ওঠা এক বিষয় নয়। অনেকে সাময়িক জনপ্রিয়তাও পান । আবার কিছু দিন পর তারা হারিয়ে যান। সত্যি বলতে টিকে থাকার জন্য ভালো কাজ করে যেতে হবে। কাজ হতে হবে অবশ্যই রুচিশীল। অল্প সময়ে জনপ্রিয়তার চিন্তা করলে আবার অল্প সময়েই হারিয়ে যেতে হবে। শিল্পীদের ভালো কাজকে প্রাধান্য দিতে হবে।