অ্যাথলেটদের আনন্দ-বিষাদের গল্প একেকটা অলিম্পিক আসর। বছরের পর বছর গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের একটি মেডেলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে কেউ হাসে, কেউ বা কাঁদে। তৃতীয়বারের মতো অলিম্পিক খেলতে আসেন আর্জেন্টাইন নারী ফেন্সার মারিয়া বেলেন পেরেজ মরিস। সফল হতে পারেননি, বিদায় হন প্রথম রাউন্ড থেকেই। তবে ব্যর্থতার গল্পকে মধুর করে তুললেন তারই কোচ গিলের্মো সসেদো। টিভি ক্যামেরার সামনেই বিয়ের প্রস্তাব করে বসেন ছাত্রীকে। গুরুর প্রস্তাবে অমত করেননি মারিয়াও।
টোকিও অলিম্পিক থেকে বাদ পড়ে দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন মারিয়া। এমন সময়ই তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন তার দীর্ঘদিনের কোচ সসেদো।
একটি কাজে কিছু লেখা নিয়ে হাজির হন সসেদো।
তাতে ছাত্রীকে উদ্দেশ্য করে লেখা ছিল, ‘তুমি কি আমাকে বিয়ে করতে চাও?’ এরপর হাঁটু গেড়ে বলেন, ‘তুমি হ্যাঁ বলো, অনেক লোক আমাদের দেখছে।’
এমন ঘটনায় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মারিয়া। সম্মতি জানাতে দেরি করেননি। পরে বললেন, ‘আমি সব দুঃখ (অলিম্পিক থেকে বাদ পড়ার) ভুলে গিয়েছি।’