এফএমসিজি প্রতিষ্ঠান ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের ২১তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার ভার্চুয়ালি বার্ষিক সাধারণ সভা প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি সাওগাতা গুপ্তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশীষ গোপাল, স্বতন্ত্র পরিচালক পারভিন মাহমুদ (অডিট কমিটির চেয়ারপারসন), স্বতন্ত্র পরিচালক জাকির আহমেদ খান (নোমিনেশন ও রেমুনেরাশন কমিটির চেয়ারপারসন), পরিচালক সঞ্জয় মিশরা এবং পবন আগারওয়াল সহ প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
সভায় শেয়ারহোল্ডারদের অনেকেই অংশগ্রহণ করেন। এতে নোটিশ অনুযায়ী সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাবিত সকল এজেন্ডা পাশ হয়। এবারের এজিএম’র প্রধান এজেন্ডা ছিল- ২০২০-২১ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন সহ পরিচালনা পর্ষদ এবং নিরীক্ষকের প্রতিবেদন অনুমোদন, চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বছরে চূড়ান্ত লভ্যাংশের ঘোষণা অনুমোদন, স্বতন্ত্র পরিচালক, মনোনীত পরিচালকের নিয়োগ অবসরপ্রাপ্ত পরিচালকের পুনঃনির্বাচন, সংবিধিবদ্ধ নিরীক্ষক নিয়োগ এবং সম্পর্কযুক্ত ব্যক্তিসমূহের লেনদেনের অনুমোদন।
এজিএম চলাকালে, চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ২০০ শতাংশ অনুমোদিত হয় যার পরিমাণ প্রতি শেয়ারে ২০ টাকা। চলতি অর্থ বছরে প্রতিষ্ঠানের প্রদত্ত অন্তর্র্বতীকালীন লভ্যাংশের পরিমাণ ছিল ৭০০ শতাংশ বা প্রতি শেয়ারে ৭০ টাকা, যা ২০২১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত মোট নগদ লভ্যাংশ ৯০০ শতাংশ বা প্রতি শেয়ারে ৯০ টাকা হয়।
ম্যারিকো বাংলাদেশের সভাপতি সাওগাতা গুপ্তা বলেন, শুল্ক প্রদানের পর প্রতিষ্ঠানের মোট লাভ হয়েছে ৩১১ কোটি টাকা এবং টপলাইন ছিল ১১৩১ কোটি টাকা। এর ফলস্বরূপ, প্রতি শেয়ারে আয় হয় (ইপিএস) ৯৮.৬৯ টাকা। তিনি শেয়ারহোল্ডারদের অবগতির জন্য জানান, গত অর্থবছরে ম্যারিকো বাংলাদেশ, কর, ভ্যাট এবং রাষ্ট্রীয় রাজস্ব মিলিয়ে প্রায় ৪০৮ কোটি টাকার অবদান রেখেছে।”
এই বছরে ম্যারিকো বাংলাদেশ কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলা করার জন্য জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন সামাজিক দায়বদ্ধতার উদ্যোগসমূহ পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠানটি সরকার এবং ইউএনডিপি’র সাথে স্বপ্ন প্রকল্পের অংশীদার হিসেবে হত-দরিদ্র নারীদের জীবিকা সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে, কোভিড মহামারীর আলোকে #সধংশঁঢ়নধহমষধফবংয জনসচেতনতা মূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে মাস্ক ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং গ্রামীণ নারীদের মধ্যে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা হয় । এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি স্বপ্ন প্রকল্পের আওতাধীন ব্যক্তিদের মধ্যে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং ব্যক্তিগত যতেœর পণ্যসামগ্রী প্রদান করে। প্রতিষ্ঠানটি তার নীট মুনাফার ১% সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কার্যক্রমের জন্য বিনিয়োগ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গত বছর ম্যারিকো বাংলাদেশ তাদের সিএসআর কার্যক্রমের উদ্দেশ্যে ৩.২ কোটি টাকা ব্যয় করে।