আগামী বছর ভারতে অনুষ্ঠিতব্য এএফসি উইমেন্স এশিয়া কাপ ফুটবলের বাছাইপর্বের খেলা সেপ্টেম্বরে। আগামী ১৩ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর এশিয়ার ২৮ দেশ ৮ গ্রুপে ভাগ হয়ে অংশ নেবে সেখানে। বাংলাদেশ পড়েছে ‘জি’ গ্রুপে জর্ডান ও ইরানের সঙ্গে। এই মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্টের বাছাই পর্ব হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশে। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন বাছাই খেলতে হবে নিরপেক্ষ কোনো ভেন্যুতে। এএফসি এখনো ভেন্যু চূড়ান্ত করেনি। তবে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বাংলাদেশ। বাছাই পর্বে অংশ নেয়ার আগে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সাবিনা-কৃষ্ণাদের জন্য দু’টি প্রস্তুতি ম্যাচ আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে। সেপ্টেম্বরে বাছাইয়ের খেলার আগে তারা কাঠমান্ডুতে দু’টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে নেপালের বিপক্ষে। নিরপেক্ষ ভেন্যু হওয়ার সম্ভাবনা কাতার। তা হলে দোহা যাওয়ার পথে বাংলাদেশ নেপালে দু’টি ম্যাচ খেলে যাবে দেশটির জাতীয় দলের বিপক্ষে। বাফুফে ম্যাচ খেলার আগ্রহ প্রকাশ করে গতকাণ অল নেপাল ফুটবল এসোসিয়েশনকে চিঠি দিয়েছে। বাছাই পর্বের আগে এটাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ নারী দলের হেড কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। ম্যাচ দু’টি নিয়ে তিনি বলেন, বাছাই পর্বে জর্ডান ও ইরান আমাদের চেয়ে শক্তিশালী। তাদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে নেপালের ম্যাচ দু’টি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমিনতে অনেক দিন ধরেই আন্তর্জাতিক ম্যাচের বাইরে আছে সিনিয়র দল। তাছাড়া নেপাল আমাদের চেয়ে শক্তিশালী। শক্তিশালী দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারলে আমরা আমাদের সক্ষমতা দূর্বলতা্‌ টের পাবো। প্রস্তুতি নিয়ে ছোটন বলেন, অনুশীলন আগে থেকেই চলছিল। গত ২৪শে জুলাই বসুন্ধরার মেয়েরা ক্যাম্পে যোগ দেয়ায় পূণাঙ্গ দল নিয়েই দুই বেলা অনুশীলন চলছে। কঠোর অনুশীলনের মাধ্যমে মেয়েরা বাছাইয়ের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।