বাংলাদেশের মাটিতে এখনো পা রাখেনি অস্ট্রেলিয়া। সবকিছু ঠিক থাকলে তারা ঢাকায় আসবে আগামীকাল। তবে আসার আগে তাদের শর্ত মেনে সিরিজ সংশ্লিষ্ট প্রায় ১৪০ জনকে রাখা হয়েছে ১০ দিনের কোয়ারেন্টিনে। এরমধ্যে হোটেলে রয়েছে ৮৫ জন। আর মাঠের গ্রাউন্ডসম্যান ৩৫ জন। দফায় দফায় হচ্ছে সবার কোভিড-১৯ টেস্টও। জানা গেছে, এর মধ্যে তিনটি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। যেখানে তৃতীয় বারের মাত্র ২ জন আক্রান্ত হয়েছে বলেই জানা গেছে বিসিবির মেডিকেল বিভাগের একটি সূত্রে।
জানা গেছে আম্পায়ার্স লিয়াঁজো অফিসার সাইফুল ইসলাম জুয়েলের নমুনা পরীক্ষায় তৃতীয় পিসিআর টেস্টের রিপোর্টে পজিটিভ আসায় শনিবার হোটেল ছেড়ে দিতে হয়েছে। এছাড়াও গ্রাউন্ডসের একজনকেও আলাদা করে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তবে অজিদের শর্ত অনুসারে এই দু’জন আর সিরিজের সঙ্গে থাকতে পারবেন না। এমন আক্রান্তের সংবাদ অস্ট্রেলিয়া সিরিজের উপর কি প্রভাব পড়বে! এ বিষয়ে বিসিবির মিডিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস অবশ্য খুব বেশি চিন্তিত নন। তবে জানিয়েছেন তাদের সর্বোচ্চ সতর্কতার কথা। তিনি বলেন, ‘আসলে এতজনের মধ্যে দুই একজন আক্রান্ত হতে পারে। চলতি অলিম্পিকেও আক্রান্ত দেখেন ১০০ জন ছাড়িয়েছে তাওতো আসর চলছে। আমাদের নিয়ম আছে সেই নিয়মের মধ্যেই যারা আক্রান্ত তাদের সরিয়ে ফেলে আইসোলেশনে নেয়া হচ্ছে। আমরা সতর্ক, ঘন ঘন টেস্ট করা হচ্ছে। কেউ পজেটিভ হলে তাদের সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। দুই একজন নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজনে দারুণ ব্যস্ত এখন বিসিবি। গেলো চার দিন ধরেই মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে চলছে সিরিজ আয়োজনে কর্মযজ্ঞ। গতকাল দেখা যায় বিসিবির জিম থেকে হোটেলে ক্রিকেটাদের জন্য সরঞ্জামও নেয়া হচ্ছে। বড় বড় ব্যানার ফেস্টুন তৈরীর কাজও চলছে স্টেডিয়াম আঙ্গিনাতে। তবে এই বিশাল আয়োজন সবই হচ্ছে দেশের কঠোর লকডাউনের মধ্যেই। গেলো বছর এই সময় করোনা ভাইরাসের প্রভাবে মাঠের ক্রিকেটই চিন্তা করা যাচ্ছিল না। সেখানে এই বছর দেশের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজন করছে বিসিবি। এ বিষয়ে স্বস্তি প্রকাশ করে জালাল ইউনুস বলেন, ‘গত বছর থেকে এ বিছর করোনা পরিস্থিতি আরো খারাপ। দেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা বেড়েই চলছে। দেশেও দেয়া হয়েছে কঠোর লকডাউন। স্বস্তির বিষয় হলো এর মধ্যে যে আমরা খেলা আয়োজন করতে পারছি এটা বড় চ্যালেঞ্জের। অস্ট্রেলিয়াকেও ধন্যবাদ দিতে হয় তারা এই সময়ে বাংলাদেশ সফরে আসছে। এটা আমাদের জন্য বড় সাপোর্ট। এই সময় বায়ো বাবলে থেকে খেলা চালানো অনেক কঠিন। দুটি দলই কিন্তু এক বায়ো বাবল থেকে আরেকটাতে আসছে। সবকিছু মিলিয়ে চ্যালেঞ্জের বিষয়। তারপরও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যেন সিরিজটা কোনো সমস্যা ছাড়া শেষ হয়।’ অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ সফরে আসার আগে যে তিনটি কঠিন শর্ত দিয়েছিল তা সব সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান জালাল ইউনুস। তিনি বলেন, ‘ওরা চেয়েছিল ইমিগ্রেশনে উন্মুক্ত স্থানে যাবে না, আমরা ব্যবস্থা করেছি বিমান থেকে নেমে ওরা সরাসরি গাড়িতে উঠবে। সেখানে ইমেগ্রেশন করে পাসপোর্ট দেয়া হবে ওরা হোটেলে চলে আসবে। আরেকটা হলো বিশেষ একটা হোটেল যেখানে সিরিজ সংশ্লিষ্ট ছাড়া আর কেউ থাকবে না তাও আমরা করেছি। আর প্রথম শর্ত ছিল পাঁচটি ম্যাচই হবে মিরপুরে তাইতো করা হয়েছে।’