× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘ফিল্ডিং ভোগাতে পারে বাংলাদেশকে’

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২৮ জুলাই ২০২১, বুধবার

ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভেন স্মিথ, প্যাট কামিন্সের মতো পরিচিত মুখগুলো আসছে না বাংলাদেশ সফরে। এমনকি শেষ মুহূর্তে ইনজুরির কারণে দল থেকে ছিটকে গেছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চও। এতেই বাংলাদেশের জন্য দারুণ সুযোগ দেখছেন ক্রিকেট ভক্তরা। কিন্তু বিপদ তো টাইগারদেরও কম নয়। দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল, ব্যাটিং ভরসা মুশফিকুর রহীম দলে নেই। ব্যক্তিগত কারণে খেলতে পারছেন ওপেনার লিটন দাসও। শুধু কি তাই দলের সেরা পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ইনজুরির কারণে অজিদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম দুই বা তিন ম্যাচ নাও খেলতে পারেন। এমন বাস্তবতায় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দলের সামনে ভীষণ চ্যালেঞ্জ।
তবে জাতীয় দলের সাবেক কোচ সারওয়ার ইমরান এই দলের ওপর আস্থা রাখতে চান। কিন্তু তার চিন্তা ফিল্ডিং বিভাগ নিয়ে। তার মতে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে এখানেই আমাদের বড় পার্থক্য হবে। এ ছাড়াও অজিদের বোলিংও হবে টাইগারদের চিন্তার কারণ। বর্তমান বাস্তবতায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের শক্তি ও দুর্বলতা নিয়ে দৈনিক মানবজমিনের সঙ্গে নিজের মতামত তুলে ধরেন দেশের অভিজ্ঞ এই কোচ। তার কথোপকথনের মূল অংশ তুলে ধরা হলো-
প্রশ্ন: তামিম, মুশফিক ও লিটনের না খেলা কতোটা প্রভাব ফেলবে?
ইমরান: ওরা তিন (মুশফিক, তামিম ও লিটন) দারুণ ক্রিকেটার। তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই সব নিয়ে চিন্তা করলে হবে না। এখানে স্পেশাল ব্যাটসম্যানের চেয়ে পাওয়ার হিটার বেশি প্রয়োজন। ওরা থাকলে ভালো হতো, এখন নেই এই জন্য যে আমাদের খুব বেশি ক্ষতি হবে এমন নয়। এখন আমাদের ইয়াং ট্যালেন্টদের সুযোগ দিতে হবে। এটি আমাদের জন্য ভালো যে নতুনরা তাদের যোগ্যতার প্রমাণ রাখতে পারবে। যেমন আমরা শামীম পাটোয়ারিকে পেলাম। আমরা সোহানকে দেখে নিতে পারি। আমি মনে করি ওদের না থাকা আমাদের জন্য সুযোগ কিছু প্লেয়ার বের করে আনার যা আমাদের দেশের জন্যই মঙ্গল হবে।
প্রশ্ন: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৯৪ রান তাড়া করে জয় কতটা আত্মবিশ্বাস যোগাবে?
ইমরান: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আমরা ১৯৪ করে জিতেছে ভালো। কিন্তু এটি দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আমাদের ব্যাটিং যোগ্যতা প্রমাণ করা যাবে না। কারণ জিম্বাবুয়ের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার বোলিংয়ের শক্তির পার্থক্য অনেক। যদি ওদের বিপক্ষে জিততে হয় আমাদের সেরাটা দিতে হবে। কারণ অস্ট্রেলিয়ার যে মানের বোলিং তার বিরুদ্ধে হোক দেশের মাটিতে ১৯০ এর বেশি রান তাড়া করে জয় সম্ভব হলেও হবে ভীষণ কঠিন।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলের দুর্বলতা কোথায়?
ইমরান: আমাদের অন্যতম দুর্বলতা বোলিং। যখনই কোনো ব্যাটসম্যানকে আক্রমণাত্মক খেলতে শুরু করে আমাদের বোলাররা চ্যালেঞ্জটা নিতে পারে না। তারা আত্মসমর্পণ করে ব্যাটসম্যান যা চায় সেই ভাবেই বল করতে শুরু করে। দেখেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাই হয়েছে। এই জায়গা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। বোলারদের চ্যালেঞ্জটা নিতে হবে, ছক্কা খেলেও পরের বলে ফিরে আসার বুদ্ধি ও চেষ্টা থাকতে হবে। বোলারদের চিন্তা থাকতে হবে আমিই যে কাউকে আউট করবো। আমি ডট বল দিবো। এক কথায় আত্মসমর্পণ করা চলবে না।
প্রশ্ন: স্পিনে সাকিবের সঙ্গী কে থাকলে ভালো হয়?
ইমরান: সাকিবের সঙ্গে মেহেদী হাসান থাকতে পারে, এ ছাড়াও নাসুম আছে। রিয়াদও স্পিন করতে পারে। তবে আমি মনে করি শুধু স্পিন দিয়ে কাজ হবে না। আমার মতে পেস বোলার মোস্তাফিজ যদি খেলে তার সঙ্গে শরিফুল ও তাসকিনদের দায়িত্ব নিতে হবে। পেসারদের অন্তত দু’জন খেলবে তাদের শেষ চার-পাঁচ ওভার দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে। কারণ তখনতো আর স্পিনার খেলানো যাবে না। এই জায়গাটাতেই আমাদের পরিকল্পনা করা উচিত। অনুশীলন করে প্রস্তুতও হতে হবে যেন স্লোয়ার বল করতে গিয়ে সেটি ফুলটস না হয়।
প্রশ্ন: বাজে ফিল্ডিং দলের জন্য কতোটা ক্ষতির কারণ হতে পারে?
ইমরান: অস্ট্রেলিয়া দলের যে ফিল্ডিং সেই মান বিবেচনা করলে আমরা অনেক নিচে অবস্থান করছি। শুধু তাই নয় আমাদের রানিং বিটউন দ্য উইকেটেও ওদের চেয়ে পিছিয়ে। যদিও এই জায়গাগুলো আমাদের রাতারাতি উন্নতি করা সম্ভব নয়। তবে টিম কম্বিনেশনটা সাজাতে হবে দলের সেরা ফিল্ডারদের নিয়েই। যেমন শামীম পাটোয়ারি আমাদের সেরা ফিল্ডার এখন। দল করার আগে ওর মতো অ্যাথলেটই নিতে হবে। তাদের মতো তরুণদের পেছনেই সময় দিতে হবে। আমাদের বড় সমম্যা হচ্ছে যে, আমাদের যে ফিল্ডার তাদের থ্রো ভীষণ দুর্বল। এখানেই প্রতিপক্ষকে আমরা ১০টা রান বেশি দিয়ে দিচ্ছি। এগুলো আমাদের উন্নতি করতে হলে সময় দিতে হবে, কাজও করতে হবে। কারণ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই সবই বড় পয়েন্ট হয়। আর এসব কারণেই কোনো সন্দেহ নেই যে আমাদের ফিল্ডিংটা দারুণ ভোগাবে।
প্রশ্ন: অস্ট্রেলিয়ার তুলনায় কোথায় পিছিয়ে টাইগাররা?
ইমরান: টি-টোয়েন্টিতে আমরা যেকোনো দলের চেয়ে পিছিয়ে। আমরা পাওয়ার ক্রিকেট খেলতে পারি না, স্লগ ওভারে বল করতে পারি না। এসবে অস্ট্রেলিয়া আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। প্রথম ৬ ও শেষের চার এই ১০ ওভারে ওরা এগিয়ে। মাঝে হয়তো ওদের চেয়ে আমরা স্পিন দিয়ে এগিয়ে থাকতে পারি। কিন্তু প্রথম ৬ ওভারে ব্যাটিং আর শেষ চার ওভারের বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে থাকবে আমাদের চেয়ে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর