× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

গেমসে যাওয়া সংগঠকদের কাজটা আসলে কি?

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২৮ জুলাই ২০২১, বুধবার

টোকিও অলিম্পিকে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছেন মাত্র ৬ জন ক্রীড়াবিদ। এদের মধ্যে কেবল আরচার রোমান সানা অংশ নিয়েছেন নিজ যোগ্যতায়। বাকিরা গেছেন ‘দয়ার’ ওয়াইল্ড কার্ডে। ছয় অ্যাথলেটের সঙ্গে কোচ হিসেবে গেছেন ৪ জন। তবে এরচেয়ে বেশি সংখ্যক কর্মকর্তা গেছেন দলের সঙ্গী হয়ে। এবারও দলের সঙ্গে টোকিওতে গেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান। বরাবরের মতো সঙ্গে আছেন তার স্ত্রী। যদিও তারা গেছেন আয়োজক জাপান অলিম্পিক কমিটির আমন্ত্রণে।
এ ছাড়া বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের (বিওএ) মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা, বিওএ’র মহাব্যবস্থাপক ফখরুদ্দিন হায়দার, শেফ দ্য মিশন বিওএ’র সহ-সভাপতি শেখ বশির আহমেদ মামুন, আরচারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বিওএ’র কোষাধ্যক্ষ কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ, অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রকিব মন্টু, শুটিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইতেখাবুল হামিদ অপু, সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা বদরুল সাইফ, বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সহ-সভাপতি দীন মোহাম্মদও সঙ্গী হয়েছেন। এর বাইরে বিওএ’র দুই কর্মকর্তা আছেন দলের সঙ্গে। এদের মধ্যে বিওএ’র মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা ও শেফ
দ্য মিশন শেখ বশির আহমেদ মামুনের বিভিন্ন সভা-সেমিনারে যোগ দিতে হয়। দলের সঙ্গেও তাদের বিভিন্ন কাজ থাকে। বাকিদের তেমন কোন কাজ থাকে না। এরপরও প্রতিবার অলিম্পিক গেমস এলেই এভাবে দলবেঁধে সংগঠকরা দলের সফরসঙ্গী হন। এই কর্মকর্তারা তো অলিম্পিক গেমস ঘুরে আসার পর বুঝতে পারেন, কোথায় বাংলাদেশের দৈন্য। পদক জিততে সত্যিই কোথায় পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ? তারা কি এসব নিয়ে কখনো ভেবেছেন? এসএ গেমসের পাশাপাশি এশিয়ান গেমস, কমনওয়েলথ গেমসের মতো বড় আন্তর্জাতিক আসরে নিয়মিতই অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। বিওএ এবং বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনের কর্মকর্তারা এসব গেমস থেকে ফেরেন, কিন্তু ফেরার পর কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্যই যেন থাকে না তাদের। অ্যাথলেটরা পান না দীর্ঘমেয়াদি কোনো প্রশিক্ষণ। এমনিতেই তাদের নেই কোনো স্পন্সর। অলিম্পিক নিয়ে তাই খেলোয়াড়েরা স্বপ্ন দেখতেও ভয় পান। তবে এবার আরচারদের পারফরমেন্সে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। আরচাররা প্রমাণ করেছেন পর্যাপ্ত ট্রেনিং পেলে তারাও পারেন। অলিম্পিক দেখতে যাওয়া সংগঠকরা যদি বিষয়টি উপলদ্বি করে অ্যাথলেটদের বছর ব্যাপি ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা্‌ করেদেন। তাহলে রোমানদের হাত ধরেই আসদে পারে অলিম্পিকে প্রথম মেডেল।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর