টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ভিলেজারপাড়ায় গভীর রাতে পাহাড় ধসে মাটি চাপায় একই পরিবারের ৫ ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের মধ্যে তিন ভাই ও দুই বোন। ওই সময় তারা ঘুমন্ত ছিল। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ও মা আহত হয়েছে। অক্ষত রয়েছে তাদের ছোট শিশু।
বুধবার (২৮ জুলাই) ভোর রাত পৌনে দুইটার দিকে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতরা ওই এলাকার সৈয়দ আলমের সন্তান আবদু শুক্কুর, জুবাইর, আবু সুলতান, কুহিনুর ও জাইনবা।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ৪নং ওয়ার্ডের সৈয়দ আলমের বাড়ির পাশের পাহাড় ধসে তিন ছেলে ও দুই মেয়ে মারা যায়। তাদের উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে রাত ৩টার দিকে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
চেয়ারম্যান রাশেদ জানান, টানা বর্ষণে হ্নীলা ইউনিয়নে শত শত বসতবাড়ি প্লাবিত ও বিধ্বস্ত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সহায় সম্পদ। মানুষের দুর্ভোগ চরমে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে সহযোগিতা চান তিনি।
এর আগে উখিয়া, টেকনাফ ও মহেশখালী উপজেলায় প্রবল বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ভেসে গিয়ে এবং পাহাড় ধসে আটজনের মৃত্যু হয়।
এর মধ্যে উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পেই মারা গেছে ছয়জন। সেখানে আহত হয়েছে আরও পাঁচজন। আর মহেশখালী ও টেকনাফে পাহাড় ধসে দেয়ালচাপায় আরও দুজন মারা গেছেন। সেখানে একজন শিশু, আরেকজন বৃদ্ধ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার ১৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে টেকনাফের নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।