× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জৈব সুরক্ষাবলয় প্রভাব ফেলছে অ্যাথলেটদের জীবনে

অনলাইন

নিজস্ব সংবাদদাতা
(২ বছর আগে) জুলাই ২৮, ২০২১, বুধবার, ৫:৩৮ অপরাহ্ন

করোনা শুধু সাধারণ মানুষ নয়, প্রভাব  ফেলেছে অ্যাথলেটদের জীবনেও।  তার আরো একবার প্রমাণ মিললো টোকিও অলিম্পিকের আসরে। ভাইরাসের মারণ থাবা থেকে বাঁচতে এবার টোকিও অলিম্পিক চলছে জৈব সুরক্ষা বলয়ে।  এই বায়ো বাবলে দীর্ঘদিন থাকা মানসিক স্বাস্থ্যে যে প্রভাব ফেলে তা বিভিন্ন ক্রীড়াক্ষেত্রে আগেও দেখা গিয়েছে। এবার তা আরও বেশি করে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল কিংবদন্তি মার্কিন জিমন্যাস্ট সিমোন বাইলসের পরিস্থিতি। রয়টার্স এর রিপোর্ট অনুযায়ী ,  অ্যাথলেটদের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হতে বিশেষ উদ্যোগ নিল ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি। রিও অলিম্পিকে চারটি সোনা জিতেছিলেন মার্কিন জিমন্যাস্ট সিমোন বাইলস। গতকাল মহিলাদের দলগত অল অ্যারাউন্ডে ভল্টে খারাপ স্কোর করার পর সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন বাইলস। আমেরিকার জিমন্যাস্ট দল টুইট করে জানায়, 'স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর অল অ্যারাউন্ড ইভেন্ট থেকে সরে গেলেন সিমোন বাইলস। ওর সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই।
সিমোনের সাহস প্রমাণ করে কেন ও সকলের অনুপ্রেরণা।' যুক্তরাষ্ট্রের এই তারকা জিমন্যাস্টের অলিম্পিকে ছয়টি সোনার রেকর্ড গড়ার স্বপ্ন ভেঙে গিয়েছিল আগেই।  পরে তিনি জানান, চোট নয়, মানসিক কারণেই তিনি এই সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।দলগত ইভেন্ট থেকে তাঁর সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি বড় এক ধাক্কা হিসেবেই এসেছে। দলগত ইভেন্টে লড়েছেন ঠিকই, কিন্তু কোথায় যেন সুরটা কেটে যাচ্ছিল। ওয়ার্মআপের সময়ও ছন্দে ছিলেন না। ফ্লোর এক্সারসাইজে প্রথম হতে পারেনি। ব্যালান্স বিম আর আনইভেন বারেও ভালো করেননি। মার্কিন সতীর্থরা তো বটেই, রাশিয়ানদের স্কোরও ছিল অনেকটাই বেশি। এর কিছু সময় পরেই ফ্লোর ছাড়েন বাইলস। পরে পায়ে ব্যান্ডেজ জড়িয়ে ফিরে সতীর্থদের সঙ্গে দেখা করে চলে যান। ব্যক্তিগত ইভেন্টগুলিতে নামবেন কিনা সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে কিছুটা সময় চেয়েছিলেন বাইলস। বিশ্রাম নিয়ে মানসিকভাবে আরও শক্ত হতে। চেয়েছিলেন  কিন্তু এদিনই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিমন্যাস্ট দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্সের অল অ্যারাউন্ডের ব্যক্তিগত ইভেন্টে তিনি নামবেন না। অর্থাত্‍ নিজের সোনা ধরে রাখা হচ্ছে না বাইলসের। চিকিত্‍সকদের পরামর্শ নিয়ে বাইলস মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি আরও ফোকাস রাখতে  ব্যক্তিগত অল অ্যারাউন্ড থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।  এরই মধ্যে টোকিও অলিম্পিকে অ্যাথলেটদের মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানের জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি। আইওসি মুখপাত্র মার্ক অ্যাডামস জানিয়েছেন, মেন্টালি ফিট হেল্পলাইন দিনের ২৪ ঘণ্টাই চালু রয়েছে এবং গেমস শেষের পরও তিন মাস ধরে তা রোজ চালু থাকবে। ক্লিনিক্যাল সাপোর্ট, সুপরিকল্পিত শর্ট-টার্ম কাউন্সেলিং, প্র্যাকটিক্যাল সাপোর্ট-সহ বিভিন্ন পরিষেবা প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে এই হেল্পলাইনে। তবে বাইলসের সিদ্ধান্ত যে আইওসি-কে অস্বস্তিতে ফেলেছে এটা মানছেন অনেকেই।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর