চাঁপাই নবাবগঞ্জ একটি সীমান্তবর্তী উপজেলা। এখানে প্রায় ৪৫ ভাগ নদীপথ এবং বাকি অংশটুকু কাঁটাতারের বেড়া বেষ্টিত। তারপরও বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ যাতায়াত এবং মাদক ব্যবসা। চোরাকারবারিরা প্রতিনিয়তই তাদের কৌশল পরিবর্তন করে মাদকের কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। এদের কেউ কেউ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরাও পড়ছে। তারপরও বন্ধ হচ্ছে না মাদক এবং অবৈধ অস্ত্রের কারবার। সমপ্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে একাধিক চোরকারবারি অস্ত্র এবং বিভিন্ন মাদক নিয়ে আটকও হয়েছে। কিন্তু স্বল্প সময়ে জামিনে ছাড়া পেয়ে আবারও জড়িয়ে পড়ছে অবৈধ কর্মকাণ্ডে।
তাদের কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে এবার ভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ বিজিবি সদস্যরা। অপরাধীদের ছবি টাঙিয়ে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেছে ৫৯-বিজিবি ব্যাটালিয়নের পক্ষে।
বুধবার ভোরে শিবগঞ্জ উপজেলার সীমান্ত এলাকার হাট-বাজারে এমন ছবিসহ এমন কয়েকটি ডিজিটাল সাইনবোর্ড দেখা গেছে। সাইনবোর্ডে অপরাধীদের নাম এবং ছবিজুড়ে দেয়া হয়েছে। এতে লেখা রয়েছে ‘মাদক কে না বলুন, নেশামুক্ত সমাজ গড়ুন’। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী মাদকমুক্ত দেশ গঠনের লক্ষ্যে চোরাচালান বন্ধে বিজিবিকে সহায়তা করুন। এতে অস্ত্রসহ চোরাকারবারিদের ধরিয়ে দিতে পারলে ৩০ হাজার টাকা, মাদকসহ ধরিয়ে দিতে পারলে ১৫ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। সীমান্তবর্তী শিবগঞ্জ উপজেলার শাজবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হক জানান, সীমান্ত অপরাধ বন্ধে জনপ্রতিনিধিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করলেও কোনোক্রমে বন্ধ হচ্ছে না অপরাধ। প্রতিদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালাচ্ছে। তাতে অনেকে মাদক এবং অস্ত্রসহ আটকও হচ্ছে। তারপরেও বন্ধ হচ্ছে না তাদের কার্যক্রম। ফলে সমাজে যেন তারা হেয় প্রতিপন্ন হয় বিজিবি সেই ব্যবস্থা করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৫৯- বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আমীর হোসেন মোল্লা জানান, যাদের ছবি টাঙানো আছে, তারা সবাই সীমান্ত অপরাধী। এদের মধ্যে অনেকে আটক হয়ে কারাগারে আছে। আবার অনেকে পলাতক রয়েছে। যারা পলাতক রয়েছে তাদের আটক করার চেষ্টা চলছে। এছাড়া আগের তুলনায় এখন অনেকাংশে কমে এসেছে সীমান্ত অপরাধ। বর্তমানে করোনাকালীন সময়ে আরও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তিনি মাদকসহ অবৈধ সীমান্তকারবারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।