× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নিখোঁজের একমাস পর বসতঘরের আঙিনায় পুঁতে রাখা গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামী আটক

বাংলারজমিন

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
২৯ জুলাই ২০২১, বৃহস্পতিবার

নিখোঁজের একমাস ৬ দিন পর কমলগঞ্জের পাত্রখোলা চা বাগান থেকে সুচিত্রা শব্দকর (৪০) নামে এক গৃহবধূর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে পাত্রখোলা চা বাগানের পশ্চিম লাইন এলাকায় নিজ বসত ঘরের আঙিনার পাশে মাটি খুঁড়ে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘাতক স্বামী সুবাস বাউরী ওরফে নুনু (৪৮) কে আটক করে পুলিশের নিকট সোপর্দ করা হয়। স্থানীয়রা জানায়, স্বামী পরিত্যক্তা সুচিত্রা শব্দকর পাত্রখোলা চা বাগানের বাজারে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করতো। সেই সুবাদে পাত্রখোলা চা বাগানের পশ্চিম লাইন এলাকার  মৃত নিতাই বাউরীর ছেলে সুবাস বাউরী ওরফে নুনুর সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে সখ্যতা গড়ে উঠলে ১৩ বছর আগে সামাজিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক বছর সংসার ভালো চললেও পরে দেখা দেয় পারিবারিক কলহ। গত ২২শে জুন থেকে সুচিত্রা নিখোঁজ ছিলেন।
মাস খানেক থেকে মায়ের সঙ্গে আগের স্বামীর মেয়ে সীমা শব্দকরের যোগাযোগ না হওয়ায় সৎ পিতা সুবাসের কাছে মায়ের খবর জানতে মুঠফোনে কল দিলে রহস্যজনক কথাবার্তা বলতো সুবাস।
মেয়ে সীমা শব্দকরের সন্দেহ হলে স্বামীর বাড়ি কমলগঞ্জ এর তিলকপুর থেকে গত মঙ্গলবার সৎ পিতা সুবাস বাউরীর বাড়ি পাত্রখোলা চা বাগানের পশ্চিম লাইনে আসে। এ সময় সৎ পিতা সুবাসের কাছে কোনো কথার উত্তর পায়নি সীমা। গতকাল সকালে সীমার জেরার মুখে সুবাস একপর্যায়ে স্বীকার করে ১ মাস পূর্বে তার মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল তাই সে রাগ করে  কুড়ালের হাতল দিয়ে আঘাত করলে সুচিত্রার মৃত্যু হয়। তাই সে ভয়ে লাশ গোপনের জন্য আঙিনার পাশে পুঁতে রাখে। একথা শুনে সীমা চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করলে সুবাস পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে প্রতিবেশীরা পাত্রখোলা জামে মসজিদ এলাকা থেকে ঘাতক সৎ পিতা সুবাসকে আটক করে। ঘাতক সুবাস বাউরী জানায়, পারিবারিক কলেহের জেরে চলতি বছরের ২২শে জুন সে তার স্ত্রী সুচিত্রাকে হত্যা করে বাড়ির আঙিনার পাশে পুঁতে রেখেছে।
খবর পেয়ে মৌলভীবাজার জেলার  সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এএসপি (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) সার্কেল শহীদুল হক মুন্সির নেতৃত্বে কমলগঞ্জ থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান, ওসি তদন্ত সোহেল রানা, এসআই ফজলে এলাহী, মহাদেব বাছার, সুরুজ আলী, মাহমুদ হাসান, উজ্জ্বল মিয়া, এএসআই আনিছুর রহমান, মিজানুর রহমান এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যান। সেখানে আটককৃত ঘাতক সুবাস বাউরীর দেখানো মতে বাড়ির আঙিনার পাশে পুঁতে রাখা গৃহবধূর অর্ধগলিত মরদেহটি দুপুর দেড়টায় উদ্ধার করে মৌলভীবাজার মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ। এ ঘটনায় গতকাল বিকালে সীমা শব্দকর বাদী হয়ে সৎ পিতা সুবাস বাউরীকে আসামি করে কমলগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর